Birbhum: ‘ওড়না টেনে খুলে নেয় ওরা…’, দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক তৃণমূল নেত্রী

Birbhum: অভিযোগকারিণী মহিলার আরও দাবি, রবিবার দলের এক নেতা তাঁকে কয়েকটি কাগজে সই করতে বলেন। সেই মতোই তিনি সই করার জন্য যান। আর তখনই তৃণমূলেরই বিরোধী গোষ্ঠীর কয়েকজন ওই নেতাকে জড়িয়ে তাঁর চরিত্র নিয়ে নানা কথা বলতে শুরু করেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতারা।

Birbhum: ওড়না টেনে খুলে নেয় ওরা..., দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক তৃণমূল নেত্রী
Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jun 30, 2025 | 10:59 AM

সিউড়ি: কসবা-কাণ্ডের তদন্ত এখনও চলছে। এর মধ্যেই এবার শ্লীলতাহানির শিকার হতে হল খোদ তৃণমূল নেত্রীকে! দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক অভিয়োগ সামনে আনলেন বীরবূমের ওই নেত্রী। অভিযোগ, তাঁকে যখন হেনস্থা করা হচ্ছিল, তখন বাধা দিতে গেলে আর এক তৃণমূলকর্মীকে মারধর করা হয়। আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।

তৃণমূলের ওই নেত্রী তথা সিউড়ি ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির অভিযোগ, রাস্তার মধ্যে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে তাঁর। অভিযোগ পত্রে ওড়না ধরে টানাটানি ও মারধরের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, পঞ্চায়েত সমিতির কাজেই কয়েকজন নেতার সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি, আর সেখানেই তাঁকে মারধর করা হয়। বেরিয়ে চলে আসার সময় তাঁর ওড়না খুলে, তাঁর গলায় ফাঁস লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয় বলেও দাবি করেছেন তিনি।

অভিযোগকারিণী মহিলার আরও দাবি, রবিবার দলের এক নেতা তাঁকে কয়েকটি কাগজে সই করতে বলেন। সেই মতোই তিনি সই করার জন্য যান। আর তখনই তৃণমূলেরই বিরোধী গোষ্ঠীর কয়েকজন ওই নেতাকে জড়িয়ে তাঁর চরিত্র নিয়ে নানা কথা বলতে শুরু করেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতারা। প্রতিবাদ করলে ওই তৃণমূল নেত্রী ও এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। আহত তৃণমূল কর্মী সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বিরোধী গোষ্ঠীর অভিযুক্ত নেতার দাবি, এমন কিছুই ঘটেনি। তিনি বলেন, “আমরা পাগল নই যে দিনের বেলা কোনও মহিলাকে জঙ্গলের দিকে টেনে নিয়ে যাব।” বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ওই পঞ্চায়েত সমিতির জন্য বিজেপি মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ায় তাঁকে নুরুল-বাহিনীর হাতে আক্রান্ত হতে হয়েছিল। এই ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এভাবেই তৃণমূলের মুষলপর্ব শুরু হয়েছে। এবার তৃণমূল অতীত হয়ে যাবে।’

প্রসঙ্গত, সিউড়ি দুই ব্লকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে বারবার। জানা যাচ্ছে, অভিযোগকারিণী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলামের অনুগত, অন্যদিকে অভিযুক্তরা নুরুল-বিরোধী গোষ্ঠীর সমর্থক। আর এই ঘটনায় ফের বীরভূমের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে।