বোলপুর: রান্না ঘরে তখন রুটি তৈরিতে ব্যস্ত মহিলা। রাত হচ্ছে। সেই কারণে খাবার প্রস্তুতের তোড়জোড় ছিল। আচমকা চুপি-চুপি ঘরে ঢুকেছিল একদল দুষ্কৃতী। তারপর ধীরে ধীরে রান্নাঘরে ঢুকে খুলে দেয় গ্যাসের নব। মুখ চেপে ধরে মহিলার ছেলের। আর তারপরই শুরু হয়ে যায় অকথ্য অত্যাচার। বাধ্য হয়ে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা।
কিন্তু কেন এমন ঘটনা?
নির্যাতিতার মহিলার নাম মোহিনী সাহানি। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরনারায়ণপুরে। মহিলার অভিযোগ, সোমবার সন্ধে সাতটা নাগাদ মোহিনীদেবী ঘরে রুটি করছিলেন। সেই সময় জনা ছ’জন যুবক তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করে। এরপর তাঁকে মারধর করে। প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করে।
মহিলার দাবি, অভিযুক্তরা হাতে মদের বোতল নিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে। কোদালের বাট দিয়ে ও দেওয়ালে মাথার ঠুকে মারধর করা হয় তাঁকে। তারপর তিনি অজ্ঞান অবস্থায় থাকলে বাড়ির সিলিন্ডারে গ্যাস খুলে দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। মোহিনী সাহানির ছেলেকে মুখ টিপে রাখা হয় যাতে সে কোনও ভাবেই চিৎকার না করতে পারে।
প্রসঙ্গত, নভেম্বরে মোহনী সাহানি তাঁর বাবার বাড়ি যায়। সেখানে তাঁর মাকে তাঁর বাবার বাড়ির লোকজনরা মারধর করছিল। সেই মারধরের ভিডিয়ো মোবাইলে বন্দি করেন মোহিনী। এরপর থানায় একটি কেস করা হয়। আর সেই কেসের প্রমাণ লোপাট করার জন্যই তাঁর পরিবারের লোকজন এসে তাকে মারধর। মোবাইল ভেঙে দেয়।