পূর্ব মেদিনীপুর: তিনি নিজেই বলেন, ‘আমি আনন্দে নেই, দুঃখে আছি।’ জমি আন্দোলনের আতুঁড়ঘর নন্দীগ্রামের কার্যত ‘মুশকিল আসান’ তিনিই। তিনি অধিকারী পরিবারের মেজ ছেলে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একুশের বঙ্গযুদ্ধে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে (Mamata Banerjee) ফোটোফিনিশে হারিয়ে নন্দীগ্রাম থেকে জয়ী হন তিনি। জয়লাভের পর থেকেই নিজের গড়ে রীতিমতো চষে বেড়াচ্ছেন বিধায়ক। খতিয়ে দেখছেন মানুষের অবস্থা। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মোকাবিলাতেও ‘অ্যাক্টিভ ফর্মে’ দেখা গিয়েছে তাঁকে। এ বার, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় রাজ্যের প্রশাসন কোনও সাহায্য করেনি, এমনকী, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বিজেপি প্রতিনিধিদের সঙ্গে জেলা প্রশাসন কোনওরকম আলোচনা করেনি বলে অভিযোগ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমি মানুষের আনন্দে নয়, দুঃখে থাকি। আমি আগেও বলেছি, আজও বলছি, রাজ্যে একটা অন্যরকম প্রশাসন চলছে। রাজ্যের প্রশাসন বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। এতবড় একটা ঘূর্ণিঝড় হল, কিন্তু, জেলা প্রশাসন গত তিনদিন ধরে বিজেপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি। বিরোধী দলের সাংসদ বিধায়ক বা পঞ্চায়েত স্তরের কর্মীদের সঙ্গে জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকরা কথা বলার প্রয়োজনই মনে করেন না। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণে আমি হতবাক। তবে আমাদের লড়াই থামবে না। আমরা আমাদের লড়াই জারি রাখব।” এদিন, বৈঠকের পরে নন্দীগ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলি পরিদর্শন করেন শুভেন্দু। স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলে ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান নেন। দুর্গতদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন বিধায়ক। এদিন, তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক অরূপ কুমার দাস, উত্তর কাঁথির বিধায়ক সুমিতা সিংহ, বিধায়ক তাপসী মন্ডল সহ বিজেপির জেলা নেতৃত্ব বৃন্দ।
উল্লেখ্য়, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মোকাবিলা করতে গত সোম ও মঙ্গলবার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। মঙ্গলবার, নয়া দিল্লির তরফে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গেও বৈঠক সারেন তিনি। মঙ্গলবার, গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্য় অভয় বার্তা দিয়ে ‘নন্দীগ্রামের নায়ক’ বলেন, “চিন্তা করবেন না। আমি আপনাদের পাশে আছি সবসময়। যারা দুঃস্থ দুর্গত আমি সর্বদা তাঁদের পাশে থাকি।”
আরও পড়ুন: ‘রাজ্যে একটা অন্যধরনের প্রশাসন চলছে, আমফান থেকে শিক্ষা নিয়েছি’, ইয়াস মোকাবিলায় তোড়জোড় শুভেন্দুর