‘তৃণমূলের নামে মিথ্যা অপবাদ ও কুৎসা প্রচারের জন্য দুঃখিত’, মাইকিং করে ‘ভুল স্বীকার’ বিজেপি কর্মীদের!

কার্যত, বিজেপি (BJP) কর্মীদের এ হেন অদ্ভূত প্রচারে অবাক গ্রামবাসীরাও। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, ভোট মিটে গিয়েছে। তাই নিজেদের 'আখের গোছাতেই' আদপে এই প্রচার শুরু হয়েছে।

'তৃণমূলের নামে মিথ্যা অপবাদ ও কুৎসা প্রচারের জন্য দুঃখিত', মাইকিং করে 'ভুল স্বীকার' বিজেপি কর্মীদের!
চলছে প্রচার, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 08, 2021 | 1:24 PM

বীরভূম: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election 2021) বঙ্গ বিজেপির ভরাডুবির পর থেকেই ধীরে ধীরে সুর বদলাচ্ছেন একাধিক দলবদলু নেতা কর্মী। ইতিমধ্য়েই নিজেদের পুরনো দল তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন একাধিক বিধায়ক। ভাঙন ধরেছে বিজেপির বুথ স্তরীয় কর্মীদের মধ্যেও। মঙ্গলবার, বীরভূমের লাভপুরে মাইকিং করে নিজেদের ‘ভুল’ স্বীকার করলেন একদল বিজেপি কর্মী।

এদিন সকালে, লাভপুরের বিপ্রুটিগ্রামে গোটা এলাকা জুড়ে টোটো নিয়ে প্রচারে নামে বিজেপি কর্মীরা। মাইকিং করে তাঁরা বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনে আমরা বিজেপিতে (BJP) যোগ দিই। নির্বাচনে তাই বিজেপির হয়ে প্রচার করতে বেরিয়ে আমরা বর্তমান রাজ্য সরকার তথা তৃণমূলের সরকারের নামে কুৎসা অপবাদ ও মিথ্যাচার করেছি। সন্ত্রাস, হিংসা ছড়িয়েছি। এর জন্য আমরা যারপরনাই ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা সকল গ্রামবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি। একইসঙ্গে বলতে চাই, আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য কাজ করতে চাই। তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ। মা-মাটি-মানুষ জিন্দাবাদ। জয় বাংলা।”

কার্যত, বিজেপি (BJP) কর্মীদের এ হেন অদ্ভূত প্রচারে অবাক গ্রামবাসীরাও। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, ভোট মিটে গিয়েছে। তাই নিজেদের ‘আখের গোছাতেই’ আদপে এই প্রচার শুরু হয়েছে। গ্রামবাসীদের একাংশের অনুমান, এক পেছনে রাজনৈতিক চাপও থাকতে পারে। যদিও, এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল ও বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে লাভপুরে জয়লাভ করেন তৃণমূলের (TMC) অভিজিৎ সিংহ। বিজেপির বিশ্বজিৎ মণ্ডল এবং সংযুক্ত মোর্চার তরফে সিপিএমের সৈয়দ মফিজুল করিমকে পেছনে ফেলে প্রায় ১৮ হাজার ভোটে এগিয়ে থেকে নির্বাচনে জয়যুক্ত হন অভিজিৎ। রাজনৈতিক হিংসার জেরে বরাবরই চর্চায় থেকেছে বীরভূম। ভোট আবহে বোমা-উদ্ধার থেকে শুরু করে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ লেগেই ছিল ‘অনুব্রত গড়ে’। বিজেপির ম্যরাথন প্রচারের পরেও বীরভূমে শেষ জয়ের হাসি দেখেছে ঘাসফুল শিবির। নির্বাচনের পরেই বিজেপি কর্মীদের এভাবে প্রচার করে ক্ষমা চাওয়ার পেছনে কেবল দলবদলের জল্পনাই নয়, শাসক শিবিরের পরোক্ষ চাপ থাকতে পারে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।

আরও পড়ুন: সিপিএমকে সাম্প্রদায়িক তকমা! বামজোটে ‘বিধি বাম’ এবার ফরোয়ার্ড ব্লকও