Cooch Behar TMC Clash: ‘কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলাম, আমি একাই আছি বাড়িতে, ওরা দরজা আরেকটু হলে ভেঙেই ঢুকছিল…’
Cooch Behar TMC Clash: স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন , হটাৎ করেই বাইকে করে কয়েকজন যুবক গ্রামে ঢোকে। তারপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। তাদেরই কয়েকজন পালানোর সময়ে বাইক ফেলে রেখে চলে যায়।
কোচবিহার: শুক্রবারই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কোচবিহারের ফলিমারি গ্রাম। আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠি উঁচিয়ে চলে হামলা। বেপরোয়া বাইক ভাঙচুর চালায় এক দল যুবক। শনিবার সকালেও তার প্রমাণ মিলল গ্রামের রাস্তার চতুর্দিকে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ভাঙা বাইক, লাঠি। গতকাল কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা এদিনের ছবিতেই স্পষ্ট।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন , হটাৎ করেই বাইকে করে কয়েকজন যুবক গ্রামে ঢোকে। তারপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। তাদেরই কয়েকজন পালানোর সময়ে বাইক ফেলে রেখে চলে যায়। এর পর লোকেরা গিয়ে ভাঙচুর চালায় বাড়িতে । ভয়াবহ সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন গ্রামেরই এক মহিলা ।
গ্রামেরই বাসিন্দা ওই মহিলা বলেন, “আমি তখন বাড়ি ছিলাম। সবেমাত্র ফিরেছি। দেখি আমাদের ক্ষেতে কেউ বাইক রেখেছেন। আচমকাই তেড়ে এসে চিত্কার চেঁচামেচি করতে থাকে ওরা। পরে আমি ভয় পেয়ে ঘরে ঢুকে যাই। আমাকে মারবে বলে ঘরের দরজায় দুমদাম মারছে। অনেক চেষ্টা করেছিল দরজা ভাঙার। পারেনি। আরেকটু হলে দরজা ভেঙে যেত। আমি কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলাম, আমি একা রয়েছি। বাড়িতে কেউ নেই। আমার স্বামী বাড়িতে থাকে না, ছোটো ছেলে নিয়ে। ভয়ে আর বাঁচতে পারছি না। আমি শুধু শুনেছিলাম ওরা চিত্কার করে বলছিল, তারাবালা অঞ্চল দখল করতে যাব। আর কিচ্ছু বুঝতে পারিনি। পুলিশ আসেনি। নদীর ওপারেই ছিল।”
শুক্রবার সকালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তুফানগঞ্জের পূর্ব ফলিমারি এলাকা। শাসকদলেরই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে গুরুতর আহত পাঁচজন। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের তুফানগঞ্জ ২ নং ব্লকের, ব্লক সভাপতি ধনেশ্বর বর্মন ও পার্থ প্রতিম রায় ঘনিষ্ঠ ফলিমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি গোকুল সাহার সঙ্গে দলীয় কোন্দল দীর্ঘদিনের।
তির ধনুক, লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায় এক পক্ষ। প্রতিরোধ গড়ে তোলে অপরপক্ষও। কিছুদিন আগেই খোলা বাজারে গুলি চালিয়ে খুন করা হয় তৃণমূল নেতাকে। মৃত তৃণমূল নেতার নাম মহম্মদ সোলেমন। ঘটনায় এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় সরকারি আইনজীবী বলেন, “রাজগঞ্জের এক তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনায় ওই ব্যক্তিকে চোপড়া থেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃতের কাছে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও আরও কিছু জিনিস পাওয়া গিয়েছে। হাতে এসেছে বেশ কিছু তথ্য এসেছে। অন্য দুষ্কৃতীর খোঁজ করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে ধৃতকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
আরও পড়ুন: Deocha Pachami Project: পাচামি এলাকায় পরিদর্শনে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত সুজন চক্রবর্তী, দেখানো হল কালো পতাকা!
আরও পড়ুন: Body Recovered at Patashpur: চুরির টাকার বাঁটোয়ারা নিয়ে বিরোধ, পটাশপুরে গুলিকাণ্ডে ধৃত ৩