Cooch Behar: বাসের সঙ্গে বাইকের ধাক্কায় মৃত্যু BLO-র, চাপের কথা তৃণমূলের মুখে
BLO died in accident: দুর্ঘটনার পর বিএলও-দের উপর চাপের কথা তুলে ধরল তৃণমূল। শাসকদলের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, "এটা একটা দুর্ঘটনা। কিন্তু, কেন দুর্ঘটনা ঘটল, সেটা বিশ্লেষণ করার সময় এসেছে। কারণ, বিএলও-দের উপর অমানুষিক চাপ দেওয়া হচ্ছে। ফর্ম বিলি থেকে শুরু করে এসআইআরের কাজের জন্য তাঁদের সময় বেঁধে হচ্ছে। একটা অসহনীয় মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে প্রত্যেক বিএলও যাচ্ছেন। এখন হয়তো ললিতবাবু রাস্তায় যেতে যেতে এসআইআরের কথা ভাবছিলেন।"

কোচবিহার: বেসরকারি বাসের সঙ্গে মোটরবাইকের সংঘর্ষ। মৃত্যু হল এক বিএলও-র। মৃতের নাম ললিত অধিকারী (৫৩)। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় দুর্ঘটনাটি ঘটে কোচবিহারের মাথাভাঙা শীতলকুচি রাজ্য সড়কের ধরলা সেতু সংলগ্ন এলাকায়। দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। এদিকে, দুর্ঘটনায় পর এসআইআরের কাজের চাপের কথা তুলে ধরল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।
মৃত ললিত অধিকারীর বাড়ি শীতলকুচির গোসাইরহাটের বড় ধাপের চাতরা গ্রামে। সেখানে তিনি বিএলও হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধে পর্যন্ত তিনি এসআইআরের কাজ করে মাথাভাঙা শহরে ফিরছিলেন। মাথাভাঙা শীতলকুচি রাজ্য সড়কের ধরলা সেতু সংলগ্ন এলাকায় একটি বেসরকারি বাসের সঙ্গে তাঁর বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার পর ঘাতক বাসটি পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় ললিত অধিকারীকে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রাথমিক চিকিৎসার পর কোচবিহারে রেফার করা হয়। রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।
মাথাভাঙা থানার পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পবিত্র কুমার বর্মণ নামে মৃতের এক আত্মীয় বলেন, “গোসাইরহাটের বড় ধাপের চাতরা গ্রামে ওঁর আদি বাড়ি। থাকতেন মাথাভাঙা শহরে। গ্রামের বাড়ির ওখানে বিএলও-র দায়িত্বে ছিলেন। গতকাল বিএলও-র কাজ করেই মাথাভাঙা শহরের বাড়িতে ফিরছিলেন।”
এদিকে, দুর্ঘটনার পর বিএলও-দের উপর চাপের কথা তুলে ধরল তৃণমূল। শাসকদলের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “এটা একটা দুর্ঘটনা। কিন্তু, কেন দুর্ঘটনা ঘটল, সেটা বিশ্লেষণ করার সময় এসেছে। কারণ, বিএলও-দের উপর অমানুষিক চাপ দেওয়া হচ্ছে। ফর্ম বিলি থেকে শুরু করে এসআইআরের কাজের জন্য তাঁদের সময় বেঁধে হচ্ছে। একটা অসহনীয় মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে প্রত্যেক বিএলও যাচ্ছেন। এখন হয়তো ললিতবাবু রাস্তায় যেতে যেতে এসআইআরের কথা ভাবছিলেন। অসাবধানতাবশত দুর্ঘটনা ঘটে। এর আগে মালবাজারে একজন বিএলও আত্মঘাতী হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন, এসআইআর বন্ধ করে দেওয়া উচিত।”
