
হলদিবাড়ি: রাতের অন্ধকারে সীমান্তে গরু পাচার হচ্ছে। খবর পেয়ে পৌঁছে গিয়েছিল পুলিশ। গরু পাচারকারীরা পুলিশকে ঘিরে ধরে মারধর করে। কোনও গরু পাচারকারীকে ধরতে পারেনি পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কোচবিহারের হলদিবাড়ি ব্লকের বক্সীগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিবিগঞ্জ এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে হলদিবাড়ি থানা এলাকায় তিস্তা নদীর উন্মুক্ত সীমান্ত এলাকায় কয়েকজন ভারতীয় ও বাংলাদেশি জড়ো হয়েছিল। বাংলাদেশে গরু পাচার তাদের উদ্দেশ্য ছিল। সেই খবর পৌঁছায় হলদিবাড়ি থানায়। খবরের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছান পুলিশকর্মীরা। তাঁদের ঘিরে ফেলে পাচারকারীরা। পুলিশকর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ারদের পাশাপাশি একজন মাঝিকে মারধর করা হয়। তিনি পুলিশকর্মীদের নৌকায় করে নদী পার করে নিয়ে গিয়েছিলেন।
পুলিশকর্মীদের মারধরের খবর পেয়ে হলদিবাড়ি থানার আইসি কাশ্যব রাইয়ের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। রাতের অন্ধকারে শুরু হয় তল্লাশি। যদিও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মেখলিগঞ্জের এসডিপিও আশিস পি সুব্বা বলেন, “আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দুষ্কৃতীদের ধরতে নজরদারির পাশাপাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।”
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ওই এলাকায় কোনও কাঁটাতার নেই। তারই সুযোগ নেয় গরু পাচারকারীরা। আক্রান্ত নৌকার মাঝি গৌরাঙ্গ দাস বলেন, “আমার নৌকা রয়েছে। একজন সিভিক ভলান্টিয়ার এসে বলেন যে নদী পারাপার করে দিতে হবে। আমি পুলিশকে নদী পারাপার করিয়ে দিই। তারপর ওরা বলে, আমাদের সঙ্গে চলো। আমিও যাই। পাচারকারীরা আমাকে দেখেই বলে, তুই পুলিশকে নিয়ে এসেছিস। বলেই মারধর শুরু করে।” স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই এলাকা দিয়ে প্রায়ই গরু পাচার হয়।