কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু বাঙালি জওয়ানের, শোকের ছায়া ধূপগুড়িতে
কয়েক দিন আগে কাশ্মীরের অবন্তিপুরায় সিআরপিএফ জওয়ানদের লক্ষ্য করে হামলার ঘটনা ঘটে। সেই হামলাতে শহিদ হন দুই জওয়ান। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন জলপাইগুড়ি জেলার বাসিন্দা বাঙালি জওয়ান জগন্নাথ রায়।
জলপাইগুড়ি: প্রয়াত হলেন কাশ্মীরে সিআরপিএফের কনভয়ে জঙ্গি হামলায় গুরুতর আহত ধূপগুড়ির জওয়ান জগন্নাথ রায়। সোমবার সন্ধে ছ’টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। সেনাবাহিনীর তরফে এদিন তাঁর মৃত্যু সংবাদ পৌঁছয় পরিবারের কাছে। ৩৩ বছরের সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুর খবরে তাঁর পশ্চিম শালবাড়ির বাড়িতে কান্নার রোল ওঠে। গোটা এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।
কয়েক দিন আগে কাশ্মীরের অবন্তিপুরায় সিআরপিএফ জওয়ানদের লক্ষ্য করে হামলার ঘটনা ঘটে। সেই হামলাতে শহিদ হন দুই জওয়ান। কাশ্মীর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার পরই আহতদের সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মাংগা রাম দেব বর্মন এক সাব-ইন্সপেক্টরের মৃত্যু হয় বলে ঘোষণা করা হয়। পরে আর এক কনস্টেবল অশোক কুমারেরও মৃত্যু হয়। অন্যদিকে জলপাইগুড়ি জেলার বাসিন্দা বাঙালি জওয়ান জগন্নাথ রায়কে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। কয়েকদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে হার মানতে হল বাঙালি জওয়ানকে।
গত শনিবারই জগন্নাথ রায়ের দাদা, শ্যালক-সহ পরিবারের তিন সদস্য তাঁকে দেখতে পৌঁছে গিয়েছিলেন সেনা হাসপাতালে। সেখান থেকে বাড়ির সদস্যরা জানতে পারেন চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন জগন্নাথ। তবে সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যুর খবর জানায় সেনাবাহিনী। জগন্নাথের বাবা গত হয়েছেন অনেক আগেই। বাড়িতে রয়েছেন ষাটোর্ধ্ব মা প্রমীলা রায়, স্ত্রী ও এক পুত্র সন্তান। এছাড়াও দাদা-বৌদি এবং এক ভাইপো। জগন্নাথের মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়।
সেন্ট্রাল কাশ্মীরের শ্রীনগর-বারমুল্লা জাতীয় সড়কের উপর লাওয়াপোরোতে সিআরপিএফ এর ৭০ নং ব্যাটেলিয়ন এর কনভয়ের ওপর গত ২৫ শে মার্চ জঙ্গিদের হামলায় শহীদ হন ২ জওয়ান এবং গুরুতর আহত হন ৩ জন। এর মধ্যে ছিলেন ধূপগুড়ি ব্লকের পশ্চিম শালবাড়ি গ্রামের এই জওয়ান। ওই জওয়ান-সহ আরও এক জওয়ানের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাঁদের বিশেষ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সব চেষ্টা সত্ত্বেও মৃত্যু হল ৩৩ বছর বয়সী বাঙালি জওয়ানের।
আরও পড়ুন: টিকিট না পেয়ে আত্মঘাতী? বিজেপি নেতার মৃত্যু রহস্যের তদন্ত চান উদয়ন
উল্লেখ্য, এই হামলার জন্য লস্কর-ই-তইবার জঙ্গিরাই দায়ী বলে জানিয়েছিল কাশ্মীর পুলিশ।