‘আমার কাছে হেরেছেন নন এমএলএ মুখ্যমন্ত্রী, তাই মুখোমুখি হতে চাইছেন না’, ফের অধিকারী পুত্রের নিশানায় মমতা

tista roychowdhury |

May 30, 2021 | 11:09 PM

তিনি আরও বলেন, "আমফানের টাকা এখনও দেয়নি সরকার। আমরা বিরোধী দল আমাদের সীমিত ক্ষমতা অনুযায়ী কাজ করছি। মানুষের দুর্দশায় তাঁদের পাশে থেকে দুটো ভাত ডালের ব্যবস্থা করেছি। সরকারি ক্ষতিপূরণ ছাড়া এতগুলো বাড়িঘর মেরামত সম্ভব নয়।"

আমার কাছে হেরেছেন নন এমএলএ মুখ্যমন্ত্রী, তাই মুখোমুখি হতে চাইছেন না, ফের অধিকারী পুত্রের নিশানায় মমতা
ফাইল চিত্র

Follow Us

পূর্ব মেদিনীপুর: ভোটপর্ব মিটলেও কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত অব্যাহত। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Cyclone Yaas) মোকাবিলায় মোদী-মমতার ‘সংক্ষিপ্ত সাক্ষাতের’জেরে জল গড়িয়েছে অনেকদূর। প্রধানমন্ত্রীর রিভিউ বৈঠকে  মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি ও রিপোর্ট জমা দিয়েই চলে আসা, সব পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে বঙ্গ বিজেপি (BJP)। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় রাজ্য সরকার ব্যর্থ এমন অভিযোগ বারবার তুলেছেন রাজ্য় বিজেপির শীর্ষ নেতারা। এ বার ফের রাজ্য সরকারের ‘ব্যর্থতার’ খতিয়ান তুলে বিতর্ক উস্কে দিলেন রাজ্যের বিরোধী বিজেপি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

আজ খেজুরিতে শুভেন্দু, নিজস্ব চিত্র

রবিবার, জুনপুট থানার মাজিলাপুরের বিরামপুটে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ বন্টন করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে ছিলেন, দক্ষিণ কাঁথির বিজেপি বিধায়ক অরূপ কুমার দাস ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী ও সম্পাদক অসীম মিশ্র। এদিন, দুর্গতদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেওয়ার ফাঁকে অধিকারী পুত্র (Suvendu Adhikari) বলেন, “রাজ্য সরকার দুর্গতদের মুখে অন্ন তুলে দিতে ব্যর্থ। জেলার বিভিন্ন এলাকায় জলবন্দি হয়ে রয়েছে মানুষ। ২৬ তারিখের পরেও জল নিষ্কাশনের কোনও ব্যবস্থা করেনি জেলা প্রশাসন। জলে পচন ধরে গন্ধ বের হতে শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী এলেন, বললেন, পাম্প বসিয়ে জল বের করা হবে! কিন্তু কোথায় কী! মাননীয়াকে বুঝতে হবে এটা রাজনীতির সময় নয়। উনি সবেতেই রাজনীতি করেন। একজন নন এমএলএ মুখ্যমন্ত্রী,আমার কাছে হেরেছেন। তাই মুখোমুখি হতে চাইছেন না।” এখানেই থামেননি বিজেপি বিধায়ক, তিনি আরও বলেন, “আমফানের টাকা এখনও দেয়নি সরকার। আমরা বিরোধী দল আমাদের সীমিত ক্ষমতা অনুযায়ী কাজ করছি। মানুষের দুর্দশায় তাঁদের পাশে থেকে দুটো ভাত ডালের ব্যবস্থা করেছি। সরকারি ক্ষতিপূরণ ছাড়া এতগুলো বাড়িঘর মেরামত সম্ভব নয়। এই বাঁধ রাজ্য সরকার মেরামত করতে পারবেন না। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছি। হলদিয়া থেকে বারণসী জাতীয় জলপথের মতোই সুন্দরবন থেকে দিঘার বাঁধ নির্মাণের দায়িত্ব নিক কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ, রাজ্য় সরকার কিছুই দেবে না। অন্তত, দশ-কুড়ি হাজার টাকা করে দিলেও কাজ শুরু করা যায়। আমাদের আশঙ্কা, আমফানের মতো ইয়াসের ক্ষতিপূরণের টাকাটাও জেলা প্রশাসন চুরি করবে।”

খেজুরিতে শুভেন্দু, নিজস্ব চিত্র

বঙ্গভোট পর্ব থেকেই আমফান দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিল বিজেপি। এ বার, ইয়াস মোকাবিলায় সেই একই অভিযোগ করেছেন বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এমনকী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) কাছে ইয়াস মোকাবিলায় অর্থ সাহায্য় চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এই অনুযোগও তুলেছেন একাধিক বিজেপি নেতা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, আমফানের অগ্রিম হিসেবে এক হাজার কোটি টাকা ছাড়া আর কোনও অর্থ পাওয়া যায়নি। তাই, ইয়াস বিপর্যয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরাসরি কোনও অর্থ চাওয়া হয়নি। শুধুমাত্র দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। বাকিটা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর স্ববিবেচনার উপর। তবে, এখানেই শেষ হয়নি মমতা-মোদী তরজা। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর রিভিউ বৈঠকে অনুপস্থিতি নিয়েও মুখ খুলেছেন মমতা। বিরোধী দলনেতার উপস্থিতি নিয়ে উষ্মাও প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর, পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেন শুভেন্দু। সেখানেও তাঁর ‘মাপা’ বক্তব্যের নিশানার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তাঁর এককালীন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: ‘ইটস আ মোমেন্ট অব এমপাওয়ারমেন্ট’, উত্তরবঙ্গে প্রথম করোনা টিকা পেলেন যৌনকর্মীরা

 

 

 

 

Next Article