Septic tank tragedy: সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে সাড়া নেই ২ শ্রমিকের, উঁকি দিতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি কিশোরেরও
Septic tank tragedy: জানা গিয়েছে, ওই এলাকার বাসিন্দা মকবুল হোসেনের বাড়িতে বেশ কিছুদিন আগে সেপটিক ট্যাঙ্ক নির্মাণ করা হয়েছিল। সোমবার সেই ট্যাঙ্কের সাটারিং খুলতে গিয়ে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে ট্যাঙ্কের ভিতরে পড়ে যায় দুই শ্রমিক। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ওই দুই শ্রমিককে না দেখতে পেয়ে এলাকারই এক নাবালক ওই ট্যাঙ্কের সামনে উঁকি দেয়।
গঙ্গারামপুর: সেপটিক ট্যাঙ্কের সাটারিং খুলতে গিয়ে মৃত্যু হল এক নাবালক-সহ তিনজনের। যার মধ্যে দু’জন নির্মাণ শ্রমিক। সোমবার বিকেলে সেপটিক ট্যাঙ্কের সাটারিং খুলতে গিয়ে বিষাক্ত গ্যাসের কারণে মৃত্যু হয় ওই তিনজনের। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার অশোক গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাদ্রা এলাকায়।
খবর পেয়ে রাতে হাসপাতালে আসেন গঙ্গারামপুর থানার আইসি শান্তনু মিত্র। মৃত দুই শ্রমিকের নাম হান্নান মিঁয়া (৩৫), রাজীব রায় (৩৫)। পাশাপাশি মৃত নাবালকের নাম রোহিত মিঁয়া (১৫)। সকলের বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার অশোক গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাদ্রা ও বৈকণ্ঠপুরে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ওই এলাকার বাসিন্দা মকবুল হোসেনের বাড়িতে বেশ কিছুদিন আগে সেপটিক ট্যাঙ্ক নির্মাণ করা হয়েছিল। সোমবার সেই ট্যাঙ্কের সাটারিং খুলতে গিয়ে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে ট্যাঙ্কের ভিতরে পড়ে যায় দুই শ্রমিক। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ওই দুই শ্রমিককে না দেখতে পেয়ে এলাকারই এক নাবালক ওই ট্যাঙ্কের সামনে উঁকি দিতেই অসাবধানতা বসত সেই কিশোরও পড়ে যায় সেপটিক ট্যাঙ্কে। বেশ কিছু সময় কেটে যাওয়ার পর এলাকার বাসিন্দাদের বিষয়টি নজরে আসতেই ওই তিনজনকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
দীর্ঘদিন ধরে ওই সেপটিক ট্যাঙ্ক বন্ধ থাকার কারণে বিষাক্ত কোনও গ্যাস নির্গত হওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক অনুমান। একসঙ্গে তিন জনের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)