Court: তৃণমূল কর্মীকে খুন, ৬ জনকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ কোর্টের
Balurghat: এদিকে মামলা চলাকালীন প্রবীর শীল নামে এক অভিযুক্ত পথ দুর্ঘটনায় মারা যান। বাকি রাকেশ দাস, রঞ্জিত বিশ্বাস, জয়দেব দাস, আনন্দ নুনিয়া, শ্যামল হাঁসদা ও সুরদীপ দাসকে সোমবার সাক্ষ্য প্রমাণের পর দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক।

বালুরঘাট: তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন বিচারক। মঙ্গলবার বিকেলে বালুরঘাট জেলা আদালতের এডিজে থার্ড কোর্টের বিচারক মনোজ প্রসাদ অভিযুক্ত ৬ জনকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম রামপ্রসাদ হালদার। বাড়ি বালুরঘাট পুরসভার ছিন্নমস্তাপল্লীতে। ছেলের খুনিরা শাস্তি পাওয়ায় খুশি মৃতের পরিবার।
বস্তুত, ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি বালুরঘাট বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকার একটি ডোবা থেকে রামপ্রসাদ হালদারের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃত ওই ব্যক্তি পেশায় কাঠমিস্ত্রি ছিলেন। রাজনৈতিক ভাবে এলাকায় তিনি সক্রিয় তৃণমূলের হিসাবে পরিচিত ছিলেন। ঘটনার আগের দিন রাতের বেলা কারও ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ওই দিন রাতে আর বাড়ি ফেরেনি।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরের দিন সকালে বালুরঘাট বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকা থেকে তার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ওই দিনই বালুরঘাট থানায় সাতজনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের বাবা অমল হালদার। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত চার্জশিট জমা করে বালুরঘাট থানার পুলিশ।
এদিকে মামলা চলাকালীন প্রবীর শীল নামে এক অভিযুক্ত পথ দুর্ঘটনায় মারা যান। বাকি রাকেশ দাস, রঞ্জিত বিশ্বাস, জয়দেব দাস, আনন্দ নুনিয়া, শ্যামল হাঁসদা ও সুরদীপ দাসকে সোমবার সাক্ষ্য প্রমাণের পর দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। মঙ্গলবার এই মামলায় অভিযুক্ত ছয় জনকে যাবজীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। মৃত ব্যক্তির তৃণমূলের কর্মী হলেও মৃত্যুর কারণ পুরনো শত্রুতা বলেই জানা গিয়েছে।
বিচারক আসামীদের ৩০২ ও ৩৪ নম্বর ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। অনাদায়ে আরো পাঁচ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও ২০১ ও ৩৪ নম্বর ধারায় ছয় জনকে সাত বছরের সশ্রমকারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও ৫০৬ ও ৩৪ নম্বর ধারায় তাদের ৭ বছরের সশ্রমকারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সবকটি সাজা এক সঙ্গেই চলবে।





