Cylinder Blast: গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে অগ্নিদগ্ধ গোটা পরিবার! মৃত্যু বাবা-ছেলের

Rupak Ghosh | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Mar 06, 2023 | 7:14 AM

জানা গিয়েছে, গত মাসের ২৪ ফেব্রুয়ারী বালুরঘাট শহর লাগোয়া রঘুনাথপুর এলাকায় রঞ্জিত সাহার বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার দিতে আসে ডেলিভারি বয়। পুরনো সিলিন্ডার খুলে নতুন সিলিন্ডার লাগিয়ে দেয় ডেলিভারি বয়। এরপরে চেক করার সময় ওভেনে আগুন দিতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি।

Cylinder Blast: গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে অগ্নিদগ্ধ গোটা পরিবার! মৃত্যু বাবা-ছেলের
প্রতীকী ছবি

Follow Us

বালুরঘাট: একই সঙ্গে অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন বাবা, ছেলে সহ মোট চারজন। নতুন গ্যাস চেক করার সময় আগুন লাগে রান্না ঘরে। সেই ঘটনায় গ্যাস ডেলিভারি বয় সহ একই পরিবারের তিনজন অগ্নিদগ্ধ হন৷ ওই অগ্নিকাণ্ডের জেরে মৃত্যু হলেছিল বাবার। বাবার দুদিন পরেই মৃত্যু হল ছেলের৷ এখনও বালুরঘাট হাসপাতালে জীবন মরণ লড়াই চালাছেন এক নাবালিকা সহ দু’জন। গত বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়েছিল বাবা রঞ্জিত সাহার। আর শনিবার রাতে মৃত্যু হল ছেলে প্রদীপ সাহার। যার ফলে পুরুষহীন হয়ে গেল গোটা পরিবার। এদিকে এখনও মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন ওই পরিবারের নাবালিকা কন্যা সহ ডেলিভারি বয়। যার ফলে চরম দুর্দশা নেমে এসেছে ওই পরিবারে।

জানা গিয়েছে, গত মাসের ২৪ ফেব্রুয়ারী বালুরঘাট শহর লাগোয়া রঘুনাথপুর এলাকায় রঞ্জিত সাহার বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার দিতে আসে ডেলিভারি বয়। পুরনো সিলিন্ডার খুলে নতুন সিলিন্ডার লাগিয়ে দেয় ডেলিভারি বয়। এরপরে চেক করার সময় ওভেনে আগুন দিতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। পুরো রান্না ঘরে নিমেষেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গেই ঝলসে যায় ডেলিভারি বয় সহ ওই পরিবারের তিনজন। বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরে সকলের অবস্থা ক্রমে অবনতি হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার রণজিৎ সাহার মৃত্যু হয়। শনিবার মৃত্যু হয় রণজিতের ছেলে প্রদীপ সাহার।

পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবারই ওই পরিবারের প্রধান রঞ্জিত সাহার মৃত্যু হয়। যা মেনে নিতে পারেনি ওই পরিবারের বাকি সদস্যরা। সেই শোক না কাটতেই শনিবার রাতে ফের রঞ্জিত সাহার ছেলের প্রদীপ সাহার মৃত্যু হয়। এদিকে প্রদীপ সাহার নাতনি পৌলমী সাহা। যার বয়স ১৩ বছর। তার মুখ পুড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যা মেনেই নিতে পারছেন না ওই পরিবারের আত্মীয় পরিজনেরা। অন্যদিকে, ডেলিভারি বয় অরুন কর্মকারও গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এবিষয়ে ওই পরিবারের আত্মীয় অশোক সাহা বলেন, “একটা দুর্ঘটনা গোটা পরিবারকে শেষ করে দিল। প্রথমে বাবা তারপর ছেলে। এই শোক, কেউ মেনে নিতে পারছি না আমরা। এখন ওই পরিবারে শুধুমাত্র শ্বাশুড়ি ও বৌমা রয়েছে। একমাত্র নাততিও হাসপাতালে। চরম সমস্যায় পড়েছে গোটা পরিবার।” এ বিষয়ে ডাঙা গ্রামবপঞ্চায়েতের রঘুনাথপুরের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য কৌশিক চৌধুরী বলেন, “খুবই খারাপ অবস্থা ওই পরিবারের। ওই পরিবারের কোনও পুরুষ সদস্য থাকল না। রোজগার করার মতো কেউ নেই। আমরা স্থানীয় ও দলের তরফে সবরকমভাবে ওই পরিবারের পাশে রয়েছি। সরকারি সুবিধা দিয়ে নানা ভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করছি।” এ বিষয়ে বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, “অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বৃহস্পতিবার ওই পরিবারের বৃদ্ধ বাবার মৃত্যু হয়। শনিবার রাতে তারই ছেলের মৃত্যু হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

Next Article