Gold Recovery: মহিলার যৌনাঙ্গের ভিতরে হাফ ডজন সোনার বাট! যেভাবে উদ্ধার করল বিএসএফ…
Gold Smuggling: হিলি থানার অন্তর্গত হাঁড়িপুকুর সীমান্তবর্তী এলাকায় সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে। সেখানে নজরদারি চালাচ্ছিলেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৬১ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা। তখনই এক মাঝবয়সি মহিলার চালচলন দেখে সন্দেহ হয় জওয়ানদের মনে।
হিলি: ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় সোনা পাচারের অভিনব ছক বানচাল করল বিএসএফ। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের অন্যতম বড় স্থলবন্দর হল দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি। সেই হিলি থানার অন্তর্গত হাঁড়িপুকুর সীমান্তবর্তী এলাকায় সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে। সেখানে নজরদারি চালাচ্ছিলেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৬১ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা। তখনই এক মাঝবয়সি মহিলার চালচলন দেখে সন্দেহ হয় জওয়ানদের মনে। তাঁকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন জওয়ানরা। কথাবার্তা সন্তোষজনক না হওয়ায় এক বিএসএফ-এর এক মহিলা জওয়ান মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ওই সন্দেহভাজন মহিলার তল্লাশি করেন। তাতেই আরও সন্দেহ বাড়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। মহিলার যৌনাঙ্গের কাছে মেটাল ডিটেক্টর নিয়ে যেতেই ‘বিপ বিপ’ শব্দ হতে শুরু করে।
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সন্দেহ তাতে আরও তীব্র হয়। কিন্তু এরপরও মহিলা দাবি করতে থাকেন তাঁর শরীরের ভিতরে কিছু লুকানো নেই। তখন আরও একটি মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চেকিং করা হয়। তারপরও মহিলা একই দাবি করতে থাকেন। কিন্তু তাঁর কথা বলার ধরন, আচার-আচরণ দেখে সন্দেহ ক্রমশ বাড়তে থাকে বিএসএফ-এর কর্তৃব্যরত জওয়ানদের। ফলে তাঁর এক্স রে স্ক্যান করানোর জন্য নিয়ে তাঁকে নিয়ে যান সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। তাতে ভয় পেয়ে যান মহিলা এবং স্বীকার করেন যৌনাঙ্গের ভিতরে তিনটি সোনার বার লুকিয়ে রাখা আছে। সেই তিনটি সোনার বার মহিলা বিএসএফ-এর হাতে তুলে দেন।
কিন্তু সোনার বারের সংখ্যার বিষয়ে প্রথমে জওয়ানদের কাছে তথ্য গোপন করেছিলেন ওই মহিলা। তিনটি সোনার বার উদ্ধারের পর আবার তাঁর শরীর মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে স্ক্যান করানো হয়। তাতে আবারও সন্দেহজনক কিছু শরীরের মধ্যে থাকার ইঙ্গিত মেলে। শেষে আরও তিনটি সোনার বার পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে মোট ৬টি সোনার বার উদ্ধার করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এরপর গত সন্ধেতেই আইনি প্রক্রিয়া মিটিয়ে ওই মহিলাকে ও উদ্ধার হওয়া সোনা হিলিতে শুল্ক দফতরের অফিসারদের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। উদ্ধার হওয়া ৬টি সোনার বারের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৫১ লাখ ২১ হাজার টাকা। এদিকে ধৃত ওই মহিলাকে এদিন বালুরঘাট জেলা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ৩ জুন তাঁকে আবার আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।