Tribal Couple Suicide: মাস চারেকের ফোনালাপ থেকে প্রেম, সদ্য বিবাহিত দম্পতির পরিণাম দেখে আঁতকে উঠলেন স্থানীয়রা

Suicide case:

Tribal Couple Suicide: মাস চারেকের ফোনালাপ থেকে প্রেম, সদ্য বিবাহিত দম্পতির পরিণাম দেখে আঁতকে উঠলেন স্থানীয়রা
গ্রাফিক্স: টিভি৯ বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 26, 2022 | 6:50 PM

দক্ষিণ দিনাজপুর: ফোন বা সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) থেকে আলাপ, সেখান থেকে বন্ধুত্বের সম্পর্ক। পরবর্তীকালে সেই বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আজকাল এই রকম ঘটনার কথা অহরহ শোনা যায়। অনেকেই এই প্রেমের সম্পর্ককে নিয়ে যায় আজীবন পথ চলার দিকে অথবা ফোনে আলাপ হওয়া মানুষটির সঙ্গে আলাপের পর তাঁকে ছেড়ে থাকতে যেন মনই চায় না, আবেগে আবদ্ধ হয়েই বিবাহের সিদ্ধান্ত নেন। তবে অনেকে ক্ষেত্রেই এই ধরনের সম্পর্ক পরিণতি পেলেও ভবিষ্যতে জীবনে অন্ধকার নামিয়ে আনে। অথবা ফোনালাপের প্রেমকে বিয়েতে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নিলেও অনেক সময় পরিবার মেনে নেয় না। এই সব ক্ষেত্রে, অনেক সময়ই মারাত্মক পরিণতির কথা সামনে আসে। দক্ষিণ দিনাজপুরে এই ধরনের প্রেমের একটি ঘটনা, বিয়ের কয়েকমাসের মধ্যেই এমন মারাত্মক পরিণতির দিকে যাবে, তা হয়ত কেউ ভাবতে পারেননি।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানা এলাকার পরেশ মুর্মু(২২) ও বেবি সরেনের(১৮) ৪ মাস আগে ফোনে আলাপ হয়েছিল। ওই দু’জনের ফোনে আলাপ হয়েছিল। সেখান থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। চার মাস আগেই তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল। শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার জামার এলাকার একটি গাছ থেকে মৃত দম্পতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়৷ পরেশ মুর্মুর বাড়ি বংশীহারী থানার জামার দাসপুকুর এলাকায় এবং বেবি সরেনের বাড়ি মালদা জেলার নালাগোলার সামসাবাদ এলাকায়। দম্পতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর থেকে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কী কারণে ওই নব দম্পতি আত্মঘাতী হলেন, তার কারণ এখনও জানা যায়নি। গোটা ঘটনা নিয়ে দম্পতির পরিবারও ধন্দে রয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে ওই দুই জন পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন। পালিয়ে বিয়ে করলেও বেবির বাড়ির লোকজন তাদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। ৩ মাস পর বুধবার বাপের বাড়িতে গিয়েছিল বেবি। বৃহস্পতিবার নিজের স্ত্রীকে আনতে বেবীর বেবির বাড়তি গিয়েছিলেন পরেশ। গতকাল বিকেলেই নিজেদের বাড়ি ফেরার জন্য সেখান থেকে বের হয় ওই দম্পতি। তবে শুক্রবার রাত অবধি ও তারা বাড়ি ফেরেননি। শনিবার পরেশের বাড়ির থেকে বেশ খানিকটা দূরে একটি গাছ থেকে দু’জনের ঝুলন্ত দেহ দেখে আঁতকে ওঠে স্থানীয়রা। পরেশের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে সেখানে যেতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। বংশীহারী থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করেছে এবং তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে ওই দম্পত্তি আত্মঘাতী হল, সেই নিয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। পুলিশ মনে করছে, মেয়ের বাড়ির পরিবার তাদের বিয়ে মেনে নেয়নি, সেই কারণে আত্মহত্যা কি না তদন্ত করে দেখা হয়েছে।

আরও পড়ুন Electric Scooter: ইলেকট্রিক স্কুটার আছে? খুব সাবধান! আপনার অবস্থাও এমন ভয়াবহ হতে পারে…