Surjya Kanta Mishra: ‘প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে ময়দানে নামতে রাজি!’, বাবুলকে কটাক্ষ সূর্যকান্তের

CPIM: উল্লেখ্য, ভবানীপুরে উপনির্বাচনে বিজেপির তরফে প্রার্থী হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেয়াল। প্রিয়াঙ্কা বাবুল সুপ্রিয়র আইনি পরামর্শদাতা ছিলেন। ভবানীপুরে তাঁকে প্রার্থী ঘোষণার পরেই একটি পোস্ট করে নিজের আনন্দের কথা জানিয়েছিলেন বাবুল।

Surjya Kanta Mishra: 'প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে ময়দানে নামতে রাজি!', বাবুলকে কটাক্ষ সূর্যকান্তের
বাবুলকে কটাক্ষ সূর্যকান্তের, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 21, 2021 | 12:07 AM

দক্ষিণ দিনাজপুর: সদ্যই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। তাঁর যোগদানকে কেন্দ্র করে একদিকে যেমন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে শাসক শিবির অন্যদিকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি বিরোধী শিবির। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি যদিও, বাবুলের দলত্যাগে বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না। সোমবার দলীয় কর্মসূচিতে এসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ বার সরাসরি বাবুল সুপ্রিয়কেই কটাক্ষ হানলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র (Surjya Kanta Mishra)।

এদিন, বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা বাবুলের তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে বলেন, “কে কখন কোথায় যাচ্ছে, কোথায় থাকছে, কিছুই বুঝতে পারছি না। আজ যে তৃণমূলে, কাল সে পদ্মফুলে। পরশু কোথায় যাবে কেউ জানে না। নিজেদের নীতি আদর্শ বলতে কিছু নেই। বাবুল শিল্পী মানুষ। বিজেপিতে থাকতে মন্ত্রী হয়েছিলেন। মন্ত্রীত্ব না পেয়ে তৃণমূলে এসেছেন। কিন্তু, ময়দানে তিনি নামবেন না।” এখানেই না থেমে সূর্যকান্ত আরও বলেন, “ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে কি বাবুল প্রচার করবেন? আমার সন্দেহ রয়েছে। ওঁ বিজেপিতে ছিলেন সেলেব্রিটির মতো। এখানেও সেভাবেই থাকবেন। এতে আর নতুন করে বলার কী আছে!”

উল্লেখ্য, ভবানীপুরে উপনির্বাচনে বিজেপির তরফে প্রার্থী হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেয়াল। প্রিয়াঙ্কা বাবুল সুপ্রিয়র আইনি পরামর্শদাতা ছিলেন। ভবানীপুরে তাঁকে প্রার্থী ঘোষণার পরেই একটি পোস্ট করে নিজের আনন্দের কথা জানিয়েছিলেন বাবুল। সেই প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে কি মাঠে নামতে তৈরি হবেন গায়ক সাংসদ? খোদ প্রিয়াঙ্কা এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “দল আমাকে প্রার্থী করেছে, আমি লড়ছি। আমার বিশ্বাস বাবুল সুপ্রিয় বোনের বিরুদ্ধে প্রচার করবেন না। আমি ওঁর জায়গায় থাকলে করতাম না। এখন দেখার ওঁর কাছে রাজনীতি বড়, নাকি ব্যক্তিগত সম্পর্ক।” সেই খোঁচাকেই কার্যত এদিন উসকে দেন সূর্যকান্ত।

সাত বছর বিজেপিতে থাকার পর কেন তিনি দল বদল করলেন, রবিবাসরীয় বিকেলে তার পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা এক লাইনেই দিয়ে দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। শহরের একটি হোটেল সাংবাদিক বৈঠক করে স্পষ্ট ভাষায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বলেন, “আমি প্রথম একাদশে থেকে খেলতে চাই। যদি মোহনবাগানের প্রথম একাদশে সুযোগ না পাই, তাহলে মোহনবাগান বি-টিমের হয়ে খেলব না। দরকারে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলব।” তাঁর বক্তব্য খুব সাফ, “কারোর কাছে নিজেকে আমায় প্রমাণ করার দরকার নেই। কিন্তু আমি সুযোগকে কাজে লাগাতে চাই। মমতাদি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝেছেন যে আমার মধ্যে এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে। সেই জন্য আমি তাঁদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।”

বাবুলের মতে, তিনি বর্তমানে বিজেপির প্রথম একাদশে নেই। বস্তুত, তাঁকে প্রথম একাদশ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল বলেই ইঙ্গিত করছেন সাংসদ। তবে কি মন্ত্রিত্ব খোয়ানোর কারণেই বিদ্রোহ? রবিবারের সাংবাদিক বৈঠকে সরাসরি এই প্রশ্নও ছুড়ে দেওয়া হয়েছিল বাবুলের উদ্দেশ্যে? সদুত্তর দেননি বাবুল সুপ্রিয় বড়াল। তৃণমূলের প্রথম একাদশের অর্থ কি তাঁকে রাজ্য সরকারে কোনও মন্ত্রিত্ব দেওয়া হবে? এই প্রশ্ন ধেয়ে আসলেও এড়িয়ে যান লোকসভার সাংসদ। বরং বারবার করেই শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের মুখাপেক্ষী হন তিনি।

তৃণমূলে যোগ দেওয়ার এই ঘটনাকে ‘বিরাট বড় সুযোগ’ হিসেবেই ব্যাখ্যা করেছেন বাবুল। পাশাপাশি জানিয়েছেন, যা ঘটার গত ৪ দিনেই ঘটেছে।যদিও বাবুল বারবার করে মনে করিয়ে দিয়েছেন, রাজনীতি ছাড়ার যে সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন, তাতে কোনও ভনীতা ছিল না। তবে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার তাঁর সিদ্ধান্ত যে বিরাট বড় একটা সুযোগ, এবং তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে তাঁকে আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যেই কোনও গুরুদায়িত্ব দেওয়া হবে, সেটাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, অর্পিতা ঘোষের ছেড়ে আসা রাজ্যসভার আসনে তাঁকে প্রার্থী করে ফের একবার দিল্লি পাঠাতে পারে তৃণমূল। কারণ তিনি যে আসানসোলের সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন, সে কথা এ দিন সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই স্বীকার করেছেন এই সাংসদ। তৃণমূল যে উষ্ণতা নিয়ে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছে, তাতে তিনি ‘আপ্লুত’ বলেও উল্লেখ করেছেন বাবুল সুপ্রিয়।

আরও পড়ুন: Jitendra Tiwari: সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরেছে মোদী-পদ্মের ছবি, জিতেন্দ্রর গতিপ্রকৃতিতে জল্পনা!