Trade License: সাদা কাগজ জমা দিলেও মিলছে সরকারি লাইসেন্স? সাদা হয়ে যাচ্ছে কালো টাকা?

Trade License: আধিকারিকদের দাবি, তাহলেও পেতে পারেন ট্রেড লাইসেন্স। কারন এটি অটো জেনারেটেড সাইট। ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার আগে নথি যাচাই এর সুযোগ থাকে না। তবে একটি মোবাইল নাম্বার প্রয়োজন। তাতে ওটিপি যায়। কিন্তু এ বাংলায় জাল ভোটার-আধার কার্ডের রমরমায় সেগুলি দিয়ে সিম কার্ড তোলা কষ্টসাধ্য নয়।

Trade License: সাদা কাগজ জমা দিলেও মিলছে সরকারি লাইসেন্স? সাদা হয়ে যাচ্ছে কালো টাকা?
কী বলছেন কর্মীরা? Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Aug 13, 2025 | 12:07 PM

শিলিগুড়ি: সরকারি পোর্টালে সাদা কাগজ বা ভুয়ো নথি জমা দিয়েই আপনি পেতে পারেন ট্রেড লাইসেন্স। অবাক হচ্ছেন? অভিযোগ এমনটাই কিন্তু হচ্ছে হামেশাই। গোটা রাজ্যেই যে কেউ যে কোনও নামে ট্রেড লাইসেন্স তুলে নিয়ে পারেন। আধিকারিকদের দাবি, ২০২১ এ রাজ্যের নাগরিকদের জন্যে অটো জেনারেটেড ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া শুরু হয়। তাতে সরকারি ই পোর্টালে যে কেউ আবেদন করে আধার ও প্যান কার্ড এবং ফি জমা দিলে মোবাইলে ওটিপির মাধ্যমে তৎক্ষনাত পেতে পারেন ট্রেড লাইসেন্স। কিন্তু কেউ যদি আধা-প্যানের বদলে সাদা কাগজ আপলোড করেন? 

আধিকারিকদের দাবি, তাহলেও পেতে পারেন ট্রেড লাইসেন্স। কারন এটি অটো জেনারেটেড সাইট। ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার আগে নথি যাচাই এর সুযোগ থাকে না। তবে একটি মোবাইল নাম্বার প্রয়োজন। তাতে ওটিপি যায়। কিন্তু এ বাংলায় জাল ভোটার-আধার কার্ডের রমরমায় সেগুলি দিয়ে সিম কার্ড তোলা কষ্টসাধ্য নয়। সেই সিম ব্যবহার করে কে ট্রেড লাইসেন্স তুলল তা খোঁজার সুযোগই নেই? অভিযোগ এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে ভুরিভুরি ট্রেড লাইসেন্স তুলে নেওয়া হয়েছে শিলিগুড়িতে। এই লাইসেন্সগুলি তোলা হলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় ব্যবসার অস্তিত্ব নেই। উপযুক্ত নথিও নেই। এমনকি যে মোবাইল নম্বর ব্যবহার হয়েছিল সেগুলিরও অস্তিত্ব নেই। দৈব্যনাথ রায় নামে এক কর্মী বলছেন, “ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে আগে অফলাইনে আমরা সব ডুকমেন্ট দেখতাম। কিন্তু অনলাইনে এখন তথ্যের কোনও যাচাই হচ্ছে না। ফলে অনেকেই ভুলভাল তথ্য দিচ্ছে। নম্বরও যা দিচ্ছে তাও সবসময় ঠিক থাকে না। ফলে প্রচুর জালিয়াতি হচ্ছে।”   

কিন্তু, এটা করে কার লাভ হচ্ছে? কেন করা হচ্ছে এমনটা? 

অভিযোগ, ট্রেড লাইসেন্স দেখিয়ে ব্যাঙ্কে খোলা হচ্ছে কারেন্ট আকাউন্ট। তাতেই কোটি কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। যা কালো টাকাকে সাদা করতে ব্যবহার হিচ্ছে। সম্প্রতি পাণিঘাটা থানা শিলিগুড়ি পৌরসভাকে চিঠি দিয়ে ৫০টি ট্রেড লাইসেন্সের যাবতীয় নথি চেয়ে পাঠায়। ওই এলাকায় কৃষি ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নামে বাসিন্দাদের ভোটার-আধার নিয়েছিল এক চক্র। এরপর সেসব ব্যবহার করে শিলিগুড়িতে ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন করে তা সংগ্রহ করে খুলে ফেলা হয় পঞ্চাশের বেশি অ্যাকাউন্ট। এরপর সেই অ্যাকাউন্টে ৫ কোটি টাকার লেনদেন হয় বলে অভিযোগ। বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে চক্রের নিচুতলার দুই এজেন্টকে গ্রেফতার হয়। এরপরেই ট্রেড লাইসেন্স কিভাবে তৈরি হল তার খোঁজ শুরু করতেই এসব তথ্য সামনে আসে।