Asok Bhattacharya: শোকগ্রস্ত অশোকের বাড়িতে দিলীপ-সুকান্ত, কাটালেন বেশ কিছুটা সময়
Asok Bhattacharya: পত্নী বিয়োগের পর অশোকবাবু বলেন, "স্ত্রীর মৃত্যু আমার কাছে বিপর্যয়। এই ধাক্কা সামলে উঠতে হবে। ভাল মেয়ে ছিল আমার স্ত্রী রত্না ভট্টাচার্য্য। কখনও মন্ত্রী বা মেয়রের স্ত্রী হিসেবে নিজেকে ভাবেননি। উদার মনের মানুষ ছিলেন। আমায় একা রেখে চলে গেলেন।''
শিলিগুড়ি: রাজনৈতিক ময়দানা তাঁরা একে অন্যের ঘোরতর বিরোধী। উঠতে বসতে একে অন্যকে আক্রমণ করেন। সেই প্রবীণ সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের (Asok Bhattacharya) বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় কাটালেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder), বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) এবং শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ।
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের পত্নী বিয়োগের ঘটনায় তাঁকে সমবেদনা জানাতে রাজ্য বিজেপি-র শীর্ষ নেতারা বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়িতে যান। সেখানে প্রবীণ সিপিএম নেতার সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় অতিবাহিত করেন দিলীপবাবুরা। এই রাজনৈতিক সৌজন্যতা দৃষ্টান্তমূল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
দিলীপবাবুর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকেও এ নিয়ে একটি পোস্ট করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সদ্য প্রয়াত হয়েছেন শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যের স্ত্রী রত্না ভট্টাচার্য। গত বুধবার সকালে ফেসবুকে মর্মস্পর্শী পোস্ট করেন তিনি। সেই পোস্টে তিবি লেখেন, “কিছুক্ষণ আগে চলে গেল আমার ৪১ বছরের জীবনের সঙ্গী, আমার লড়াই সংগ্রামের সাথী, আমার অনুপ্রেরণা, আমার সাহস, আমার কাজ, আমার মানুষের পাশে থাকা আমার স্ত্রী রত্না ভট্টাচার্য। ও শুধু আমাদের পার্টির একজন সদস্য ছিল না, ছিল একজন লড়াকু , আমার সহধর্মিনী বলে বলছি না ও ছিল একজন প্রকৃত ভাল মেয়ে, একজন উদার, নমনীয়, সবাইকে ভালোবাসতে পারত।” উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই রত্না ভট্টাচার্যকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার সেখানেই মারা যান তিনি।
তার পরই অশোক ভট্টাচার্যকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ফোনে তিনি সমবেদনা জানান রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে। বলেন, ‘আপনি একা হয়ে গেলেন, ভালো থাকুন,সবাইকে নিয়ে থাকুন।’
আর পত্নী বিয়োগের পর অশোকবাবু বলেন, “স্ত্রীর মৃত্যু আমার কাছে বিপর্যয়। এই ধাক্কা সামলে উঠতে হবে। ভাল মেয়ে ছিল আমার স্ত্রী রত্না ভট্টাচার্য্য। কখনও মন্ত্রী বা মেয়রের স্ত্রী হিসেবে নিজেকে ভাবেননি। উদার মনের মানুষ ছিলেন। আমায় একা রেখে চলে গেলেন।”
আরও পড়ুন: COVID Update: একদিনে বাংলার সংক্রমণ হাজার ছুঁই ছুঁই, শীর্ষে কলকাতা
বৃহস্পতিবার কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে সকালে মারা যান অশোকবাবু স্ত্রী। রাতের ট্রেনে তাঁকে কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি নিয়ে আসা হয়। তার পর শুক্রবার সকালে অশোক বাবুর বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান শিলিগুড়ি পৌর প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেব এবং জেলা তৃণমূল সভাপতি পাপিয়া ঘোষ। ছিলেন বিজেপি এবং কংগ্রেসের নেতারাও। তার পর তাঁর বাড়িতে গেলেন দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদাররাও।
আরও পড়ুন: Local Train Update: লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে বড় পর্যবেক্ষণ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের