
শিলিগুড়ি: পশ্চিম সীমান্তে শত্রু চিহ্নিত। নির্দিষ্ট রুট ধরেই আসার চেষ্টা করে শত্রুরা। কিন্তু উত্তর-পূর্বে লড়াইটা অসম। অজানা, অচেনা শত্রু খোঁজার লড়াই। তাই একদিকে যেমন সীমান্তে মোতায়েন আধাসেনা, তেমনি সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামে গ্রামে এখন চলছে আগন্তুকদের খোঁজ। দিন কয়েক আগেই ফাঁসিদেওয়াতে কাটাতার কেটে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। নজরে আসতেই দ্রুত সেসব মেরামত করা হয়। কিন্তু কেন? সীমান্তের ওপার থেকে আসার চেষ্টা? নাকি নাশকতার ছক? সেই খোঁজেই বর্তমান আবহে এবার সীমান্তের গ্রামে গ্রামে বৈঠক কছেন বিএসএফ কর্তারা। গ্রামে কারা আসছেন কেন আসছেন সেসব নিয়ে চোখ-কান খোলা রাখতে পাঠ দেওয়া হচ্ছে সীমান্তপাড়ের গ্রাম গুলিতে।
গোয়েন্দাদের দাবি, আপাত নিরিহ মানুষের বেশে আত্মীয়তার নামে আসা কেউ বাস্তবে আইএসআই বা জামাতের লোক হতেই পারেন। ফলে সতর্ক থাকাই শ্রেয়। একদিকে যেমন সীমান্ত প্রহরা চলছে, তেমনই এভাবেই অযাচিত, সন্দেহজনক গতিবিধির খোঁজে গ্রামের মানুষের সহায়তা নিচ্ছে বিএসএফ।
গ্রামের বাসিন্দাদের পাশাপাশি এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও সতর্ক হয়েছেন। তাঁদের দাবি, আমরা ভারতীয়। তাই গ্রামের বাসিন্দাদের বলেছি সীমান্ত পারে কেউ এলে তা জানাতে হবে। গ্রামাঞ্চলে অচেনা কাউকে ঘুরতে দেখলে দ্রুত প্রশাসনকে জানান। দিনে ও রাতে সতর্ক নজর রাখতে হবে নিজেদেরকেও।
সীমান্তে যেমন বিএসএফ অতন্দ্র পাহাড়ায় তেমনি এই এলাকাগুলির ভৌগলিক অবস্থান মাথায় রেখেই এই অঞ্চলেও রয়েছে সেনাও। পশ্চিমে যে সুদর্শন চক্র ভারতের ঢাল হয়ে দাড়িয়েছিল সেই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম রয়েছে এই অঞ্চলেও। রয়েছে বায়ুসেনার মিগ, মিরাজ সুখোই ও রাফালও। সোজা কথা, শত্রুর বিষনজর পড়লেই নিমেষে শেষ। তবু সাবধানের মার নেই! সে কারণেই এত তৎপরতা বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।