শিলিগুড়ি: বান্ধবীদের সঙ্গে বিরিয়ানি খেতে যাচ্ছে জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। কিন্তু, কয়েকঘণ্টা পর সেই কিশোরীর মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল শিলিগুড়িতে। শিলিগুড়ি উত্তরকন্যার কাছে রাস্তার পাশে একটি জঙ্গল থেকে বছর চোদ্দোর ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয় বলে জানা গিয়েছে। নাবালিকার পরিবারের প্রশ্ন, বিরিয়ানি খেতে গিয়ে ওখানে কীভাবে গেল তাদের মেয়ে? ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মৃত কিশোরীর বাড়ি ফুলবাড়ি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের শান্তি পাড়া এলাকা। নবম শ্রেণিতে পড়ত সে। মৃতের পরিজনরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে সে বাড়ি থেকে বেরোয়। জানায়, বান্ধবীদের সঙ্গে তিনবাত্তি মোড়ে বিরিয়ানি খেতে যাচ্ছে। ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় কেটে গেলেও কিশোরী বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজ শুরু করে। সেইসময় ওই কিশোরীর প্রেমিক ফোন করে জানায়, কিশোরী গুরুতর অসুস্থ। বাড়ির লোক তাকে পৌঁছে দিতে বলে। বাড়িতে নিয়ে এলে পরিবারের লোকজন দেখেন, ওই কিশোরীর জ্ঞান নেই। সঙ্গে সঙ্গে তাকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় এনজিপি থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। নাবালিকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে উত্তরকন্যার পার্শ্ববর্তী এক জঙ্গল থেকে তার প্রেমিক উদ্ধার করেছে। তাদের প্রশ্ন, কীভাবে ওই কিশোরীর উত্তরকন্যার পার্শ্ববর্তী সেই জঙ্গলে পৌঁছাল? খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে কিশোরীর পরিবার। পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরীর কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে। শারীরিক নির্যাতন হয়েছে কি না, তাও ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
দিয়ার এক পিসি বলেন, “আমাদের মেয়ের সম্পর্কের কথা পরিবারের লোকজন জানত। কোনওদিন বাধা দেয়নি। ওর বয়ফ্রেন্ড ওকে জঙ্গলে পেল কীভাবে? ওকে যখন নিয়ে আসে, তখন হাত-মুখ সাদা হয়ে গিয়েছে। গলায় একটা দাগ রয়েছে।” হাসপাতালে ওই কিশোরীর প্রেমিকের উপর চড়াও হয় স্থানীয় লোকজন। উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। আসে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে কিশোরীর প্রেমিক-সহ দুই জনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়।