
শিলিগুড়ি: পাহাড়ে বিপর্যয়ে প্রাণ হারাল ছোট্ট মেয়ে। দিদার সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে মৃত্যু নাবালিকার (Minor)। নিম্নচাপের জন্য প্রবল বৃষ্টি হয়। যার জেরে গভীর রাতে পাহাড়ে নামে ধস। আর তারপরই মর্মান্তিক পরিণতি। নাবালিকার মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই শোকের ছায়া গোটা এলাকায়।
মৃত নাবালিকার নাম আরুশি ছেত্রী। সে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত। নাবালিকার বাড়ি ডাবগ্রামে। দিদার সঙ্গে আরুশি বেড়াতে মিরিকে গিয়েছিল। আবার তাঁরই সঙ্গে ফিরে আসার কথা ছিল তাঁর। তবে রাত গভীর হতেই বদলে গেল পরিস্থিতি। পাহাড় ধসে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। হাসিখুশি মেয়েটা আর ফিরে আসতে পারল না। শেষ হয়ে গেল সব কিছু। মৃতের এক আত্মীয় বলেন, “রাতে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। তখনই ঘটে যায় অঘটন। দেখছি বাড়ি নেই। ভেঙে গিয়েছে। এরপর দিদি আসে। ওই আমাদের সবটা জানায়।” আরও একজন জানালেন, এই এলাকার অনেকেরই পরিবারেই এমন ঘটেছে। আরও একজন ছোট শিশুর আঘাত লেগেছে।
বস্তুত, নিম্নচাপের প্রভাবে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছিল উত্তরবঙ্গে। সেখানে লাল সতর্কতা জারি করেছিল আলিপুর আবহাওয়া অফিস। শনিবার গভীর রাত থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। আর তার জেরে ধস নামে পাহাড়ে। একাধিক জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও খারাপ অবস্থা কালিম্পং, মিরিকে। অসমর্থিত সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, পাহাড় ধসে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২৮ জনের। এর মধ্যে মিরিকের সংখ্যা সব থেকে বেশি।
অপরদিকে, উত্তরবঙ্গের পাহাড়ে গিয়ে নিখোঁজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়াও। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না পরিবারের লোকজন। ফলে চিন্তায় পড়েছে গোটা পরিবার। নিখোঁজ ওই ছাত্রের নাম হিমাদ্রি পুরকাইত। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কামারপোলের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, হিমাদ্রি দার্জিলিংয়ের সুখিয়াপোখরি থানার সোনাদা সংলগ্ন একটি হোমস্টেতে উঠেছিলেন। বন্ধুদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগ ছিল। কিন্তু শনিবার রাত থেকে তাঁর সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করতে পারেননি।