
ফাঁসিদেওয়া: সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রসব করাতে এসে মোটা টাকার ‘টিপস’ দিতে বাধ্য হলেন প্রসূতি। এদিকে তাঁর আর্থিক অবস্থা মোটেও ভাল নয়। অভিযোগ, ফাঁসিদেওয়া ব্লক হাসপাতালে। ঘটনা চাউর হতেই তা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে প্রশাসনিক মহলে। অভিযোগের ভিত্তিতে দুই হাউস কিপিং কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে বলে জানান জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।
প্রসঙ্গত, এতদিন প্রায়শই উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আয়া মাসিদের দৌরাত্ম্যের খবর সামনে আসতো। এখন অন্যান্য হাসপাতালের ছবি দেখে অনেকেই বলছেন, সেই রোগই এখন ছোঁয়াচে হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতেও। মঙ্গলবার ফাঁসিদেওয়া ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে, অনামিকা কুজুর নামে এক প্রসূতি লিখিত অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁর কাছ থেকে প্রথম দফায় ২২০০ টাকা, পরবর্তীতে আরও ৩০০ টাকা দাবি করা হয়। তিনি পেশায় চা শ্রমিক। কাজ করেন মুনি চা বাগানে।
সূত্রের খবর, ওই মহিলা দু’জন স্বাস্থ্য কর্মীর নাম-সহ অভিযোগ করেছেন। অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট বিব্রত জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ তুলসী প্রামাণিক। তিনি জানান, যে দুজনের নামে অভিযোগ জমা পড়েছে, তাঁরা আদৌ স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী নন। সাফাই কর্মী হিসেবে ঠিকাদার সংস্থার হয়ে কাজ করেন। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক স্তরে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হচ্ছে বলেও জানান তিনি।