
শিলিগুড়ি: এক দিকে দিল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনা, বাংলাদেশে হাসিনার ফাঁসির সাজা, সঙ্গে আবার বাংলায় ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন। এই ‘হাই ভোল্টেজ’ আবহে উত্তরবঙ্গে হয়ে গেল নিরাপত্তারক্ষীদের সমন্বয় বৈঠক। শনিবার চিকেনস নেকের অদূরেই বৈঠকে বসলেন দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্তারা। যোগ দিলেন গোয়েন্দা দফতরের প্রধানরাও। পাশাপাশি, সমন্বয় বৈঠকে যোগ দিতে ভুলল না রাজ্য পুলিশের কর্তারাও।
ভারতীয় সেনা, সীমান্তরক্ষী এসএসবি, বিএসএফ, জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী বা এনআইএ এবং রাজ্য পুলিশের কর্তারা যোগ দিয়েছিলেন এই সমন্বয় বৈঠকে। সন্ধ্য়ার দিকে শেষ হয়েছে বৈঠক। নীল বাতি গাড়িতে সওয়ার হয়ে বেরিয়ে গিয়েছেন প্রধানরা। কিন্তু কী নিয়ে আলোচনা হল, সেই বিষয়ে কোনও উত্তর দেননি তাঁরা। বলে রাখা প্রয়োজন, এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ফরাক্কা ব্যারাজ কর্তৃপক্ষও। কিন্তু বৈঠকের নির্যাসটাই বা কী?
বিশেষজ্ঞদের দাবি, চিকেনস নেক নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। মূলত দিল্লির ঘটনার পর যে জইশ নেটওয়ার্ক দেশের সামনে প্রকাশ্য়ে এসেছে তাই ভাবাচ্ছে গোয়েন্দা ও নিরাপত্তারক্ষীদের। পাশাপাশি, বাংলাদেশে বদলাচ্ছে আবহ। হাসিনাকে ফেরাতে রব উঠছে সেখানে। তার খানিকটা প্রভাব দেশের সীমান্তগুলিতে পড়তে পারে বলেই মত তাঁদের। আর সীমান্তের প্রসঙ্গ উঠলে চিকেনস নেক ‘অন প্রায়োরিটি’। সেখানে চাই কড়া নজরদারি। তাই শনিবার আগাম ঝালিয়ে নেওয়ার কাজটাই সেরে নিল নিরাপত্তারক্ষীরা।
প্রসঙ্গত, বাংলায় এসআইআর শুরু হতেই লেগে গিয়েছে ‘বাংলাদেশি পলায়নের’ হিড়িক। সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার থেকে এখনও পর্যন্ত স্বরূপনগরের হাকিমপুর সীমান্ত হয়ে ওপারে গিয়েছেন ১ হাজার ৭২০ জন বাংলাদেশি। শুধুই হাকিমপুর নয়, বসিরহাটের মতো জায়গা থেকেই উঠে এসেছে বাংলাদেশি পলায়নের ছবি। আর এই আবহে সমন্বয় বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ যে ওঠেনি, এমনটা হয় না বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। এই বাংলাদেশি ও অনুপ্রবেশ ইস্যুতে নতুন কৌশল তৈরি করা হতে পারে বলে মত তাঁদের।