New Military Base in Siliguri: শিলিগুড়ি নিয়ে সর্বস্তরে আলোচনা, তৈরি হচ্ছে নতুন সামরিক ঘাঁটি
Siliguri Coridor: ২২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত রয়েছে শিলিগুড়ি করিডর। এই একটা পথ জুড়ে দিয়েছে ভারতের উত্তর-পূর্বকে। সেভেন সিস্টারের ৪ কোটি ৫০ লক্ষেরও বেশির মানুষের নিরাপত্তা টিকে রয়েছে এই একটা অংশের উপর। সুতরাং, সেই অংশে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বাড়তি জোর দেওয়াটাই স্বাভাবিক।

শিলিগুড়ি: পূর্বাঞ্চলের অত্য়ন্ত সংবেদনশীল এলাকা। ২২ কিলোমিটার সরু ভূভাগ। যা জুড়ে দিচ্ছে ‘সেভেন সিস্টার’কে। আর এই এলাকার একদিকে চিন, অন্যদিকে বাংলাদেশ। এই বৈশিষ্ট্যর জেরেই ভারতের অন্য়তম গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে শিলিগুড়ি করিডর। সম্প্রতি এই শিলিগুড়িতেই হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠক। জাতীয় নিরাপত্তা দল, বিএসএফ, রাজ্য পুলিশ-সহ দেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা দফতরের কর্তারা যোগ দেন সেই বৈঠকে। এরপরই শিলিগুড়ি করিডরে নতুন সেনা ঘাঁটি তৈরির ইঙ্গিত দিল নয়াদিল্লি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্য়ম ইন্ডিয়া টুডের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিলিগুড়ি করিডরে তিনটি নতুন সেনা ঘাঁটি তৈরি করতে চলেছে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। কিন্তু এই তিনটি সেনা ঘাঁটি নিয়ে এখনও পর্যন্ত বিশেষ কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আৃসেনি। কত সেনা, কত আর্টিলারি মোতায়েন করতে চলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, সেই নিয়ে বিশেষ কোনও তথ্য দেয়নি তাঁরা। সূত্রের খবর, বাংলাদেশ সংলগ্ন সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতেই নতুন তিনটি সেনাঘাঁটি তৈরি করবে মন্ত্রক। নজরে রাখবে চিনকেও। বিশেষজ্ঞদের মতে, সঙ্কটকালে এমন সিদ্ধান্ত কার্যত বেনজির।
২২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত রয়েছে শিলিগুড়ি করিডর। এই একটা পথ জুড়ে দিয়েছে ভারতের উত্তর-পূর্বকে। সেভেন সিস্টারের ৪ কোটি ৫০ লক্ষেরও বেশির মানুষের নিরাপত্তা টিকে রয়েছে এই একটা অংশের উপর। সুতরাং, সেই অংশে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বাড়তি জোর দেওয়াটাই স্বাভাবিক। তার মধ্যে আবার বাংলাদেশে বদলে যাওয়া ‘জল-হাওয়া’ তৈরি করেছে উদ্বেগ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার তৈরি হতেই বইতে শুরু করেছে ‘ভারতবিরোধী’ হাওয়া। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জুড়েছে পদ্মাপাড়। দুই দেশের সেনা কর্তাদের মধ্যে বেড়েছে যাতায়াত। সম্প্রতিই, এই সঙ্কটকালের মধ্যে বাংলাদেশে এসেছিলেন জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর প্রধান হাফিজ সৈয়দের ঘনিষ্ঠ ইবতিসাম ইলাহি জহির। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া একাধিক গ্রামে গিয়ে বৈঠক ও সভা করেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক স্তরে এই ইবতিসাম ও তাঁর সংগঠন ভারতবিরোধী বার্তা ছড়ানোর কাজই করে থাকে। এবার সেই অভিসন্ধি দেখা গেল তাঁর সদ্য মেটা বাংলাদেশ সফরেও।
