KGF Gang: রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার পিছনে ছিল KGF! অবশেষে প্রকাশ্যে এল সত্যিটা
Ramkrishna Mission: বস্তুত, মধ্যরাতে শিলিগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে হামলা অভিযোগের ওঠার পর থেকে পুলিশি তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। এরপর রাত্রিবেলা গ্রেফতার হয় বেশ কয়েকজন। সূত্রের খবর, অভিযুক্তরা কেজিএফ গ্যাং-এর সদস্য।
শিলিগুড়ি: রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন পাঁচজন। অধরা মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায়। তবে জানা যাচ্ছে, এই হামলার পিছনে নাকি রয়েছে কেজিএফ (KGF) গ্যাং। দক্ষিণী সিনেমার অনুকরণে নামটি রাখা হয়েছে দুষ্কৃতী বাহিনীর। সূত্রের খবর, জমি দখলে সিদ্ধহস্ত এই গ্যাং। যে কোনও দুষ্কৃর্মে ‘মাসল ম্যানের’ জোগান দেয় এই গ্যাং।
বস্তুত, মধ্যরাতে শিলিগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে হামলা অভিযোগের ওঠার পর থেকে পুলিশি তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। এরপর রাত্রিবেলা গ্রেফতার হয় বেশ কয়েকজন। সূত্রের খবর, অভিযুক্তরা কেজিএফ গ্যাং-এর সদস্য।
কী কাজ করে KGF গ্যাং? সূত্রের খবর, জমি দখল থেকে শুরু করে কাউকে শায়েস্তা করা সবেতেই নাম রয়েছে কেজিএফ-এর। রেটচার্ট ধরে টাকা ফেললেই কাজে নেমে পড়ে এই গ্যাং৷ শিলিগুড়ির জমি দখলের কারবারে ম্যাসল ম্যান চাইলেও জোগান দেয় এরা। সূত্রের খবর, প্রথম দিকে ছোটখাটো ঘটনা ঘটাতো এই চক্র। এরপর তারা জমির দখলের কারবারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে তারা।
তবে পাঁচজন গ্রেফতার হলেও রামকৃষ্ণ মিশনের বিরুদ্ধেই দায়ের হয়েছে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা। উল্লেখ্য, শিলিগুড়ির ‘সেবক হাউস’ নামে একটি বাড়িতে শনিবার রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ জনা পঁত্রিশেক দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মিশনের ঘরে ঢোকে। সন্ন্যাসীদের উপর চড়াও হয়। তাঁদের শারীরিক নিগ্রহ করে বাড়ির বাইরে বার করে দেওয়া হয়। শুধু তা-ই নয়, পাঁচ সন্ন্যাসী ও বাড়িটির নিরাপত্তারক্ষীদের তুলে নিয়ে গিয়ে নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশনের সংলগ্ন এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় নাম জড়ায় প্রদীপ রায় নামে এক ব্যক্তির। মিশন-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ভক্তিনগর থানায়। তবে জানা যায় মিশন অভিযোগ দায়েরের ঠিক এক ঘণ্টা পরেই প্রদীপ রায় পাল্টা একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই ভক্তিনগর থানাতেই। এরপরই তৈরি হয় বিতর্ক।