Khagen Murmu: ‘আগের থেকে খারাপ হয়েছে’, খগেন মুর্মুর শারীরিক অবস্থার অবনতি, কী বললেন স্ত্রী?

Khagen Murmu Health Update: নাগরাকাটায় বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। শিলিগুড়ি  বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খগেন মুর্মু। তাঁর চোখের নীচের হাড় ভেঙে গিয়েছে। এক্স রে রিপোর্টে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, চোখের কয়েক সেন্টিমিটার নীচের স্পর্শকাতর একটি হাড় ভেঙে গিয়েছে।

Khagen Murmu: আগের থেকে খারাপ হয়েছে, খগেন মুর্মুর শারীরিক অবস্থার অবনতি, কী বললেন স্ত্রী?
বাঁ দিকে খগেন মুর্মুর স্ত্রী মঞ্জু কিস্কুImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 09, 2025 | 6:15 PM

শিলিগুড়ি: কিছুটা হলেও খগেন মুর্মুর শারীরিক অবস্থার অবনতি। তেমনটাই জানা যাচ্ছে, শিলিগুড়ি বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখন কথা প্রায় আর বলতেই পারছেন না। দুই চোয়াল নড়ছে না ঠিক করে। মুখে হাড়ের ব্যথা আজ সকাল থেকেই খুব বেড়েছে। চিকিৎসকরা ব্যথা কমানোর ওষুধ দিয়েছেন। এখন ওষুধ দিয়েছেন।

নাগরাকাটায় বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। শিলিগুড়ি  বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খগেন মুর্মু। তাঁর চোখের নীচের হাড় ভেঙে গিয়েছে। এক্স রে রিপোর্টে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, চোখের কয়েক সেন্টিমিটার নীচের স্পর্শকাতর একটি হাড় ভেঙে গিয়েছে। আর কিছুটা হলে চোখটাও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

সাতটা সেলাই পড়েছিল মুখে। প্রথমে পাঁচটা সেলাই দেওয়া হয়। পরে অবস্থা বুঝে আরও  দুটো সেলাই দেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচার করে পাত লাগানো জরুরি। অন্তত দিন পনেরো কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে সাংসদকে। প্রথমে ওষুধের সাহায্যে বিষয়টি ঠিক করানোর চেষ্টা চলবে। চার সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাঁকে। যদি পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, তাহলে অপারেশন করে পাত বসানো হতে পারে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। পরিস্থিতি বুঝে তাঁকে দিল্লির এইমস হাসপাতালেও স্থানান্তরিত করা হতে পারে।

খগেন মুর্মুর স্ত্রী মঞ্জু কিস্কু  বলেন, “এখন প্রচণ্ড ব্যথা। খাবারও খেতে পারছেন না। আগের থেকে খারাপ হয়েছে। আমরা আর এখানে রাখতে চাইছি না। দিল্লির এইমসে নিয়ে যেতে চাইছি।”

খগেন-শঙ্করের ওপর হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিজেপির তরফে মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বেশ কয়েকজনের ছবি শনাক্ত করে প্রকাশ করেছিলেন। সূত্রের খবর, যে কয়েক জনের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে, তাদের মধ্যে কেবল একজনই গ্রেফতার হয়েছে। বাকি যারা গ্রেফতার হয়েছে, তাদের নাম এফআইআর-এ নেই। এই নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপিও।