
শিলিগুড়ি: খুন করে দেহ লোপাট করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন মা ও মেয়ে। মা আরতি ঘোষ ও মেয়ে ফাল্গুনী ঘোষ কেন এমন কাজ করলেন, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, সম্পত্তির লোভেই সম্পর্কে পিসিশাশুড়ি সুমিতাকে খুন করেছেন ফাল্গুনী। সুমিতার গয়না চুরি করে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। সে সবই তদন্তসাপেক্ষ। তবে, ফাল্গুনীর অপরাধ প্রবণতা যে নতুন নয়, তেমনই অভিযোগ সামনে আসছে। তাঁর হাত থেকে ছাড় পাননি মামাশ্বশুরও।
শিলিগুড়িতে ফাল্গুনীর মামাশ্বশুরের বাড়ি। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে শিলিগুড়িতে ওই আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁদের বাড়ির আলমারিতে লাগানো ছিল চাবি। আত্মীয়কে সন্দেহ করার কথা ভাবেননি তাঁরা। কিন্তু ফাল্গুনী চলে যাওয়ার পর দেখা যায় আলমারি থেকে গায়েব টাকা, উধাও গয়না। প্রায় লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না চুরির অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।
ফাল্গুনীর সম্পর্কে ভাসুর সুব্রত ঘোষ এবং তাঁর ছেলে সপ্তক ঘোষের বাড়ি সুভাষ পল্লী এলাকায়। সেই বড়িতেই ২০২১ সালে গিয়ে বেশ কিছুদিন ছিলেন ফাল্গুনী। ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ফাল্গুনীর বিরুদ্ধে। এমনকী ফাল্গুনী নিজেই চুরির কথা স্বীকার করেছিলেন।
সুব্রত ঘোষের আইনজীবী চিন্ময় সাহা জানিয়েছেন, সুব্রত ঘোষ ২০২১-এ এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। বয়ানের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়। তিনি নিজেই স্বীকার করেছিলেন যে চুরি করেছেন। পরে জামিনে মুক্তি পান ফাল্গুনী। এরপর থেকে ওই পরিবারের সঙ্গে ফাল্গুনীর সব সম্পর্ক ছিন্ন হয়।
উল্লেখ্য, স্যুটকেসে ঢুকিয়ে যে পিসিশাশুড়ির দেহ লোপাট করার চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ, সেই সুমিতার গা থেকেও নাকি গয়না উধাও! সুমিতার দিদি শিপ্রা ঘোষের দাবি, বোনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে অনেক টাকা তুলে নিয়েছেন ফাল্গুনী ঘোষ। নিঃসন্তান সুমিতার টাকা ও সম্পত্তির হাতানোর জন্য নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁর গলায় থাকা সোনার চেন, লকেট এবং দুহাতে থাকা সোনার চুড়ি সবকিছুই উধাও বলেও দাবি করেছেন শিপ্রা।