Siliguri: বন্ধ সিসিটিভি! ওয়ার্ড থেকে উধাও সদ্যজাতের মৃতদেহ, চাঞ্চল্য শিলিগুড়িতে

Prasenjit Chowdhury | Edited By: জয়দীপ দাস

Oct 17, 2024 | 5:39 PM

Siliguri: ওয়ার্ড থেকে উধাও মৃত সদ্যজাতের দেহ, তদন্তের আশ্বাস দিয়ে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দাবি সিসিটিভি সুইচ অফ ছিল। চরম গাফিলতির জেরই এমন ঘটনা, বলছে মৃত শিশুর পরিবারের লোকজন। বাড়ছে ক্ষোভ।

Siliguri: বন্ধ সিসিটিভি! ওয়ার্ড থেকে উধাও সদ্যজাতের মৃতদেহ, চাঞ্চল্য শিলিগুড়িতে
শোরগোল শিলিগুড়িতে
Image Credit source: TV 9 Bangla

Follow Us

শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল থেকে উধাও সদ্যজাত শিশুর মৃতদেহ। ক্ষোভ প্রকাশ পরিবারের সদস্যদের। মৃত শিশুর পরিবারের সদস্যরা জানান, বুধবার সকালে শিলিগুড়ি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গোয়ালা পট্টি এলাকার বাসিন্দা এক গর্ভবতী মহিলাকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ডাক্তার জানান, গর্ভেই তাঁর শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পরবর্তীতে বুধবার রাতে মৃত পুত্র সন্তানের জন্ম দেন রিয়া গুপ্তা নামে ওই মহিলা। হাসপাতালের তরফে জানানো হয় চার ঘণ্টা পরে পরিবারের লোকজন শিশুটির দেহ নিয়ে যেতে পারবেন। তবে শিশুটির বাড়ির লোকেরা জানায় তাঁরা বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটির দেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাবে। সেই মতো তাঁরা এদিন সকালে হাসপাতালে এসে শিশুটির দেহ নেওয়ার জন্য দীর্ঘক্ষণ ধরে হাসপাতাল চত্বরে অপেক্ষাও করেন।  তবে সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও তাঁদের হাতে শিশুটির দেহ তুলে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। 

এমনকী হাসপাতালের পক্ষ থেকে শিশুটির দেহ দেখতেও দেওয়া হয়নি। পরিবারের লোকেদের এমনটাই অভিযোগ। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শিশুটির পরিবারের সদস্যদের জানানো হয় সেই সদ্যোজাত শিশুটির মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ খবর চাউর হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে। 

ঘটনার পরেই মৃত শিশুটির পরিবারের লোকেরা হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ক্ষোভের সঙ্গেই বলেন, “বাচ্চার দেহ গেল কোথায়? কুকুরে নিল, নাকি বেড়ালে? কিভাবে ওয়ার্ড থেকে উধাও ওই মৃতদেহ? এর দায় কার?”। দোষীদের কঠোর শাস্তিরও দাবি করেছেন তাঁরা। অন্যদিকে হাসপাতাল সুপারের দায়িত্বে থাকা অমিত দত্ত জানান, ঘটনাটি কীভাবে ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সময় যারা যারা কর্তব্যরত ছিলেন তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এদিকে তিনি এও জানাচ্ছেন ঘটনার সময় সিসিটিভি বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু কে এই কাজ করল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খবর গিয়েছে পুলিশেও। 

Next Article