
শিলিগুড়ি: চার চিনা নাগরিকের পর চিকেন নেকের খুব কাছেই গ্রেফতার খালিস্থানী জঙ্গি নেতা। বাড়তি তৎপরতা উত্তরবঙ্গ করিডরে। গত সপ্তাহেই নেপাল-বিহার সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে চার চিনা নাগরিককে গ্রেফতারের করা হয়। ভারত পাকিস্তান অস্থির পরিস্থিতিতে এমনিতেই প্রশাসনের তরফ থেকে সীমান্ত এলাকাগুলিতে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে কোনও মুহূর্তের অনুপ্রবেশের আশঙ্কা থাকছে বলে আগেভাগেই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে পৌঁছে গিয়েছে সতর্কতা। চিনা নাগরিকের পর এবার গ্রেফতার খালিস্থানি জঙ্গি কাশ্মীর সিং গালওয়াদ্দি ওরফে বলবীর সিং। কাশ্মীরের মাথার দাম ছিল দশ লক্ষ টাকা।
এনআইএ সূত্রে খবর, সন্ত্রাসবাদীদের লজিস্টিক সাপোর্ট, হাওয়ালার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করত কাশ্মীর। ২০১৬ সালে পঞ্জাবের একটি জেল ভাঙার ঘটনায় অভিযুক্ত কাশ্মীর বব্বর খালসা ইন্টার ন্যাশানাল ও রিন্দা নামের একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। নেপালে বসেই ভারত বিরোধী নানা কাজ করত কাশ্মীর।
গ্রেফতার খালিস্তানি জঙ্গি
বিহারের মোতিহারি থেকে কিশনগঞ্জের দূরত্ব মাত্র ৩৮০ কিমি। গাড়িতে সময় লাগে চার ঘণ্টা। ফলে সন্ত্রাসবাদীরা বাংলা ও বিহারের বিভিন্ন নেপাল সীমান্ত দিয়ে কেন ঢোকার চেষ্টা করছেন তা ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের।
নেপাল সীমান্ত ব্যবহার করে কেন ওই চিনা নাগরিকেরা এবং কাশ্মীর ভারতে ঢুকেছিল? গোয়েন্দা সূত্রে খবর, নেপালের বিহার সীমান্ত হয়ে ঢুকে বাংলা-বিহার সীমান্তে আসাই উদ্দেশ্য ছিল তাদের। গন্তব্য ছিল উত্তরবঙ্গ করিডর। ধৃত চিনা নাগরিকদের পাশাপাশি কাশ্মীরকেও জেরা করছেন এনআইএ কর্তারা।
গোয়েন্দাদের দাবি, বাংলা ও বিহারের বেশ কিছুটা এলাকা জুড়ে আছে নেপাল সীমান্ত। সহজেই নেপালে আশ্রয় নিয়ে থাকা ও প্রয়োজনে বাংলা ও বিহারে আসা যায়। সে উত্তর-পূর্বের এই এলাকাকে বেছে নেওয়া হচ্ছে। বলাই বাহুল্য, প্রতিটি ক্ষেত্রে চিন-পাক যোগ রয়েছে। খুব কাছেই উত্তরবঙ্গ করিডর রয়েছে। ফলে এখানেও গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় এবং কড়া নজরদারি করা হচ্ছে। ভারত-পাক পরিস্থিতির মাঝেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার প্রেস ব্রিফিংয়েও ভারতের ডিজিএমও রাজীব ঘাঁই বলেছেন, “অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে। এই অনুপ্রবেশকারীরাই সীমান্তে জঙ্গিকার্যকলাপে নিযুক্ত হয়। আমাদের কাছে এমনও তথ্য রয়েছে যে, সেটা পাকিস্তানি সেনাও হতে পারে, যারা আমাদের পোস্টকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।”