
দুধিয়া: দুদিন ধরে উত্তরবঙ্গ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছিলেন তিনি। দুর্গতদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন ত্রাণ। তুলে দিয়েছেন ক্ষতিপূরণ। কিন্তু আরও যে সকল বন্যাদুর্গতরা ছিলেন তাঁরা কার্যত ক্ষোভে ফুঁসছেন। কারণ, মমতা কাছে এলেও দেখাই মিলল না। ক্ষতিগ্রস্থ বাসিন্দাদের আটকে দিল পুলিশ।
দুধিয়া ব্রিজের ঠিক পঞ্চাশ মিটার দূরে একটি ভাঙা ঘরের সামনে নীল-সাদা মঞ্চটা জানান দিচ্ছে গতকাল ওখানেই এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। দুপুরে যখন মুখ্যমন্ত্রী আসেন, তখন আশায় বুক বেঁধেছিলেন দুধিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্তদের এনে তাঁদের ত্রাণ বিলিয়ে ফিরে যান মমতা। দিনভর ঠায় দাঁড়িয়েও মমতাকে ভাঙা ঘরটুকু দেখাতে পারেননি স্থানীয় বাসিন্দারা। সামান্য কথাটুকু বলতে মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই পৌঁছতে দেয়নি পুলিশ। তাই মুখ্যমন্ত্রী চলে যাওয়ার পর ক্ষোভে ফুঁসছেন দুধিয়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেই।
ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক সানু সাব্বা বলেন, “সবাই দুর্গাপুজোর জন্য আনন্দ করছিল। হঠাৎ ভয়ঙ্কর বৃষ্টি হল। তবে নদী ভয়ঙ্কর শব্দ করছিল। এরপর রাত দেড়টা নাগাদ পুল ভেঙে গেল। আর তারপর নদী সব গুড়িয়ে দিল। দিদি এসেছে। কিন্তু কথা হয়েছে। আমরা তো কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ঘর তৈরি হয়নি।”
স্থানীয় মোর্চা নেতা প্রদিপ প্রধান বলেন, “মমতার মমতা অধরাই। দুধিয়ায় এসে মিরিকের ক্ষতিগ্রস্থদের এনে চেক বিলালেন মমতা। কিন্তু দুধিয়ায় ক্ষতিগ্রস্থদের ভাঙা ঘরের দিকে ফিরেও তাকালেন না।”
বিমল গুরুং বলেন, “আজ এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি দেখে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগ নিয়ে পাহাড়ের পাশে দাড়িয়েছেন। যারা এখনো ত্রাণ পান নি দ্রুত তাদের কাছে সাহায্য পৌছে দিতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে সকলেই সাহায্য পাবেন।” তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, “সরকার দ্রুত কাজ শুরু করেছে। ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসা হয়েছে। এখান থেকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে।”