Recruitment Scam: ‘যদি সোমা দাসের চাকরি থাকে, তাহলে আমার ছেলের কেন নয়?’, বললেন ফাঁসিদেওয়ার সায়ানগামের মা

Recruitment Scam: ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধান নগরের সায়ানগাম ভাওয়াল। ২০১৬ সালে পরীক্ষা দেওয়ার পর ২০১৮ সালে বিধান নগর কুরবানালি হাই স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের নিয়ম হন। হঠাৎ করে ২০২৪-এর ডিসেম্বরের দিকে তাঁর শারীরিক অবস্থা অবনতি ঘটে।

Recruitment Scam: যদি সোমা দাসের চাকরি থাকে, তাহলে আমার ছেলের কেন নয়?, বললেন ফাঁসিদেওয়ার সায়ানগামের মা
কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সায়নগাম ভাওয়াল Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Apr 04, 2025 | 10:17 PM

শিলিগুড়ি:  ‘যদি সোমা দাসের চাকরি থাকতে পারে, তাহলে কেন আমার নয়?’ প্রশ্ন তুলছেন ফাঁসিদেওয়ার সায়ানগাম ভাওয়ালের বৃদ্ধা মা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এক লহমায় চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার। কিন্তু একজনেরই চাকরি রয়েছে। তিনি সোমা দাস। ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ায় তাঁকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সোমা যদি ছাড় পান, তাহলে সায়ানগাম নয় কেন? আরও অনেক চাকরিহারাদের মধ্যেও তো  ক্যান্সার আক্রান্ত রয়েছেন।

ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধান নগরের সায়ানগাম ভাওয়াল। ২০১৬ সালে পরীক্ষা দেওয়ার পর ২০১৮ সালে বিধান নগর কুরবানালি হাই স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের নিয়ম হন।
হঠাৎ করে ২০২৪-এর ডিসেম্বরের দিকে তাঁর শারীরিক অবস্থা অবনতি ঘটে। জানা যায় সায়ানগাম মরণ রোগ ক্যান্সারে আক্রান্ত। বাড়িতে রয়েছে দু’বছরের ছোট্ট শিশু কান্না, বউ, মা, ভাই ও ভাইয়ের বউ ,বাবা বেশ কিছু বছর আগেই মারা গিয়েছেন।
এরপর মরণ রোগ ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ছুটে যায় মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে বেতনের হাতে গোনা টাকা দিয়ে শুরু হয় মারণ রোগ ক্যান্সারের চিকিৎসা।

এরপরই এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে জল অনেকটাই গড়িয়েছিল, কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ সালের চাকরি দুর্নীতি নিয়ে সম্পূর্ণ পেনাল্টি খারিজ করে দেওয়া রায় দেয়। এরপরই মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টে তবে হাইকোর্টের রায়কেই মান্যতা দেয়। সুপ্রিম কোর্ট রায়ে প্রায় ২৬ হাজার পরীক্ষার্থীর চাকরি চলে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় ভুগছে চাকরিপ্রার্থীরা।

হাইকোর্টের রায় বেরোতেই খবর পেয়ে অসুস্থ হয়ে যান সায়ানগাম। তবে এক বছর কেমোথেরাপিও বিভিন্ন ওষুধের মাধ্যমে মারণ রোগ ক্যান্সারকে জয়ী করলেও চাকরি যাওয়ার পর পুনরায় তিনি অসুস্থ হয়ে পরেও তাঁর মনোবল হারিয়ে ফেলেন। এখনও তাঁকে ৩ মাস অন্তর অন্তর চিকিৎসার জন্য ছুটে যেতে হয় মুম্বইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে।

সায়ানগাম ভাওয়াল বলেন, “বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা ছিল, তবে এরকম একটা রায় বেরোবে সেটা ভাবতে পারেনি । নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছি, হঠাৎ করে এইভাবে চাকরি চলে গেলে কীভাবে সংসার চালাব ও নিজের চিকিৎসা কীভেবে করাব সেটা বুঝে উঠতে পারছি না।”

সায়ানগাম মা ও মামার আবেদন, সোমা দাসের মতো সোয়ামগামকেও বিশেষ ছাড় দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক আদালতের পক্ষ থেকে। তাহলে অন্তত বেতনের টাকা দিয়ে আগামী দিন চিকিৎসা করাতে পারবে ছেলেকে। অন্যথা টাকার অভাবে মাঝপথেই চিকিৎসা বন্ধ করতে হবে।