
শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ির বাণিজ্যিক এলাকায় বহুতল নির্মাণে করা হচ্ছে না নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা? কিসের ভিত্তিতে দেওয়া হচ্ছে অনুমোদন? পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে একদিন আগেই প্রশ্নটা তুলে দিয়েছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জন শীলশর্মা। এদিন এ নিয়ে পুরসভায় কমিশনারকে স্বারকলিপি দেয় বিজেপি। অন্যদিকে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বামেরাও। বিরোধীদের চাপ বৃদ্ধির পাশাপাশি ঘরের অন্দরেই এ নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন ওঠায় দৃশ্যতই চাপে গৌতম দেবের নেতৃত্বে থাকা পৌর বোর্ড।
তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জন শীলশর্মার অভিযোগ, হিলকার্ট রোডে একটি চারতলা বাড়িকে সাত তলা করার অনুমতি দিয়েছে পৌরসভা। নিয়মের তোয়াক্কা না করেই তা করা হয়েছে। জোরকদমে এখন সেখানে নির্মান কাজ চলছে। কিভাবে আইন এড়িয়ে এই অনুমোদন তা পুরবোর্ডের কাছে জানতে চান কাউন্সিলর। তাতেই চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে শিলিগুড়ির রাজনৈতিক মহলে।
এদিন এ নিয়ে পৌর কমিশনারকে স্বারকলিপি দেয় বিজেপি। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের অভিযোগ, নানা বিনিময়ের মাঝে আইন এড়িয়ে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে মুখ বন্ধ রাখেনি সিপিএম-ও। সিপিএমের কাউন্সিলরদেরও স্পষ্ট অভিযোগ, নানা অনিয়ম হচ্ছে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিপিএম কাউন্সিলর শরদিন্দু চক্রবর্তী।
চাপানউতোরের মধ্যে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলছেন, “যে বৈঠকে ওই নির্দিষ্ট বহুতলকে সাততলা করতে অনুমোদন দেওয়া হয় সেই বৈঠকে আমি ছিলাম না। তবে দলে স্বচ্ছতা আছে বলেই শাসক কাউন্সিলর রঞ্জন শীলশর্মার মোশন আমরা বোর্ড সভায় রেখেছি। আমিই ওই প্রশ্ন করার অনুমতি দিয়েছি।” তবে গোলযোগ পেলে নির্মাণ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। একইসঙ্গে বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে মেয়র বলছেন, “ভুলত্রুটি থাকলে দ্রুত খিতিয়ে দেখে প্রয়োজনে নির্মাণ আটকে দেব৷ বিরোধীরা আন্দোলন করছেন করুন। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, বাম আমলেই এই প্রবনতা তৈরি হয়েছিল। জমি দখল, বেআইনি প্ল্যান পাসের ভুরি ভুরি অভিযোগ আছে বাম আমলে।”