Siliguri: ঢাল একুশে জুলাইয়ের ভিড়! ট্রেনে ৫৬ তরুণীকে নিয়ে কষেছিল ছক… মহাইভেন্টের রাত পোহাতেই বড় চক্রের পর্দাফাঁস

Siliguri: উত্তরবঙ্গের চা বাগান অধ্যুষিত তরুণী-যুবতীদেরই প্রাথমিকভাবে টার্গেট করা হয়েছিল। তাঁদের পরিবারের অনটন রয়েছে। দিন আনা দিন খাওয়ার পরিবারের মেয়েদের মোটা টাকার চাকরির প্রলোভন দিয়ে ভিন রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। শিলিগুড়িতে এর আগে একটা মক ট্রেনিং হয়েছিল।

Siliguri: ঢাল একুশে জুলাইয়ের ভিড়! ট্রেনে ৫৬ তরুণীকে নিয়ে কষেছিল ছক... মহাইভেন্টের রাত পোহাতেই বড় চক্রের পর্দাফাঁস
পাচারের হাত থেকে রক্ষা পেল ৫৬ তরুণী!Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jul 22, 2025 | 11:06 AM

শিলিগুড়ি: বাংলার তরুণীদের পাচারের চেষ্টার অভিযোগ। পাটনাগামী ক্যাপিটাল এক্সপ্রেস থেকে ৫৬ জন তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করে জলপাইগুড়ির জিআরপি ও আরপিএফ। আইফোন কোম্পানিতে কাজের টোপ দিয়ে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের তরুণীদের বিহারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পাচার চেষ্টার অভিযোগে এক মহিলা-সহ দুজনকে আটক করেছে জিআরপি। ধৃতদের কথায় বিস্তর অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধারের পর খবর দেওয়া হয় পরিবারের সদস্যদের। পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় তরুণীদের।

উত্তরবঙ্গের চা বাগান অধ্যুষিত তরুণী-যুবতীদেরই প্রাথমিকভাবে টার্গেট করা হয়েছিল। তাঁদের পরিবারের অনটন রয়েছে। দিন আনা দিন খাওয়ার পরিবারের মেয়েদের মোটা টাকার চাকরির প্রলোভন দিয়ে ভিন রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। শিলিগুড়িতে এর আগে একটা মক ট্রেনিং হয়েছিল। বলা হয়েছিল, আইফোন-সহ অন্যান্য মোবাইল কোম্পানিগুলিতে চাকরি দেওয়া হবে। আসলে মূল গন্তব্য বেঙ্গালুরুর কাছাকাছি তামিলনাড়ুর একটি সীমান্তবর্তী এলাকা হলেও নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল পাটনার দিকে।  প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ভেঙে ভেঙে গন্তব্যের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হত । তরুণীদের।

বেছে নেওয়া হয়েছিল ২১ জুলাই দিনটাই। কারণ সেই দিনে ট্রেনে-বাসে তৃণমূল কর্মী সমর্থদের ভিড় থাকে। সেই ভিড়ের মাঝে মিশিয়েই তরুণীদের নিয়ে যাওয়ার ছক ছিল বলে জেরায় আপাতত জানতে পেরেছে পুলিশ।

জানা যায়, ট্রেনের এক কামরায় ওঠেন ৫৬ জন। তাঁদের কারোর কাছেই টিকিট ছিল না। কেবল তাঁদের কাছে সিট ও কোচ নম্বর লেখা একটা করে কাগজ ছিল। তা দেখেই সন্দেহ হয় যাত্রী ও টিকিট পরীক্ষকের। তারপরই খবর দেওয়া হয় জিআরপি-কে। আপাতত ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এর পিছনে কোনও চক্র সক্রিয়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক অভিভাবক বলেন, “আমরা এখানে এসে শুনলাম, ওরা যে আমাদের মেয়েদের নিয়ে যাচ্ছে, সেটা পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়নি। আগেও ওরা এক ব্যাচ এরকম নিয়ে গিয়েছিল বলে শুনেছি।”