শিলিগুড়ি: শিলিগুড়িতেও চোপড়া কাণ্ডে ছায়া। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে সালিশি সভায় ডেকে এক যুগলকে মারধরের অভিযোগ। শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি ১ নম্বর অঞ্চলের বকরাভিটার ঘটনা। মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে এক মহিলা ও তাঁর স্বামীকে ডেকে এনে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। সালিসি সভায় নিগ্রহের পরই ঘর থেকে উদ্ধার মহিলার দেহ। অপমানে ওই মহিলা আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ। এলাকারই কয়েকজন মহিলার ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন স্বামী। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বকরাভিটা গ্রামের নিগৃহীতা মহিলার সঙ্গে পাশের গ্রামেরই এক যুবকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তাঁর সঙ্গেই কিছু দিন আগে পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। পরিবারের তরফ থেকে থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়। কিন্তু পুলিশ কোনও খোঁজ দিতে পারেনি মহিলার। জানা যাচ্ছে, ৮ দিন পর ওই মহিলা নিজেই বাড়িতে চলে আসেন। তাঁর স্বামী তাঁকে ফিরিয়েও নেন। এরপরই গ্রামে বসে সালিশি সভা। অভিযোগ, সেই সালিশি সভাতেই মহিলা ও তাঁর স্বামীকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।
মহিলার স্বামীর অভিযোগ, ” আমারে ওরা বলেছিল, তুই বউকে নিয়ে আয়। আমরা একটু হালকাভাবে সাবধান করে দেবো। তারপর আমি আমার শ্বশুরবাড়ির থেকে নিজের কাছে নিয়ে আসি। আমাকে ওরা বলছিল, ওকে যদি ঘরে তুলিস, তাহলে তোকে শেষ করে দেব। ওকে তো যাচ্ছেতাইভাবে মেরেছেই, আমাকে মেরেছে। জুতো দিয়ে মেরেছে আমাকে।”
পঞ্চায়েতের এক সদস্য বলেন, “দুই পরিবারের তরফ থেকেই মিসিং ডায়েরি করা হয়েছিল। ওরাই চলে আসে। তারপর পঞ্চায়েতের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, গ্রামে সালিশি ডেকে মিটমাট করে নিতে।” আর পঞ্চায়েতের সদস্যদের সামনে সালিশি সভাতেই চরম নিগ্রহের অভিযোগ তুলেছেন মৃতার স্বামী।
দুদিন আগেই উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। যা এখন জাতীয় রাজনীতির চর্চার বিষয়। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, জেসিবি নামক ষণ্ডা মার্কা এক তৃণমূল নেতা, মহিলা ও পুরুষকে লাঠির গোছা দিয়ে বেধড়ক মারছেন। আশপাশের সকলে দাঁড়িয়ে দেখছেন তা। জানা যায়, ওই তৃণমূল নেতা বিধায়ক হামিদুল রহমান ঘনিষ্ঠ। এই ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বিধায়ক নিজেই মহিলাকে দুশ্চরিত্র আখ্যা দিয়েছেন। যা নিয়ে আরও বিতর্কের ঝড়। জেসিবি- অবশ্য এই মুহূর্তে পুলিশের জালে।