
শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুলে র্যাগিংয়ের অভিযোগ। অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের কাছ থেকে প্রতিদিন টাকা দাবি, না পেলেই মারধর। এই অভিযোগের পরও ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ। আতঙ্কে স্কুল থেকে টিসি নিয়েছে নিগৃহীত ছাত্র। এই বিতর্কের মাঝেই ওই একই স্কুলে ভয়ঙ্কর অভিযোগ। টাকার বিনিময়ে ভাড়াটে মস্তান এনে অষ্টম শ্রেণির দুই পড়ুয়াকে মারধরের অভিযোগ উঠল সহপাঠীদের বিরুদ্ধে। অন্য ঘটনায় দিন কয়েক আগে আরও এক ছাত্রকে মারধোর করতে ক্ষুর নিয়ে স্কুলেই বহিরাগতরা ঢুকেছিল বলেও অভিযোগ। নানা ঘটনায় প্রশ্নের মুখে সরকারি নামী স্কুলের নিরাপত্তাই।
বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুলে। নামী সরকারি এই স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি খোদ মেয়র গৌতম দেব। সেই স্কুলের নিরাপত্তা ব্যবস্থাই যেন প্রশ্নের মুখে।
র্যাগিং কাণ্ডের রেশ এখনও মেটেনি। এই নিয়ে মঙ্গলবারই বৈঠক বসে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে তাতে চিড়ে ভেজে নি। এখনও এ নিয়ে স্পষ্ট পদক্ষেপ না হওয়ায় স্কুল থেকে টিসি নিয়েছে নিগৃহীত ছাত্র। এদিন তার বাবা ও মা স্কুলে এসে ছেলেকে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে স্কুলের আরও এক ভয়ঙ্কর অভিযোগ। দিন কয়েক আগেই বহিরাগত একজন ক্ষুর নিয়ে স্কুলেই ঢুকে পড়েছিল ও এক ছাত্রকে মারধর করেছিল বলে অভিযোগ। কোনওক্রমে শিক্ষকরা তা প্রতিরোধ করেন। অন্যদিকে সোমবারই ভাড়াটে মস্তান এনে স্কুলের বাইরে কলেজপাড়া এলাকায় বয়েজের দুই ছাত্রকে পেটানোর অভিযোগ ওঠে তাদেরই সহপাঠীদের বিরুদ্ধে। সেই সময় ওই এলাকায় দিয়েই যাচ্ছিলেন স্কুলের শিক্ষক। তিনি ছাত্রদের রক্ষা করেন।
প্রধান শিক্ষক উৎপল দত্ত বলেন, “বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা স্কুলের সামগ্রীক মান নির্ধারণ করে না। তবে নিগৃহীত ছাত্র টিসি নিয়েছে। আমরা অভিভাবককে বুঝিয়েও আর ছাত্রকে স্কুলে রাখতে পারিনি। অভিযুক্ত ছাত্রকে চিহ্নিত করা হয়েছে। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। অন্য যেসব ঘটনাগুলি ঘটেছে সেগুলি মিডিয়া হাইপ পাচ্ছে। ক্ষুর নয় পেনসিল কাটার নিয়ে বহিরাগত একজন স্কুলে ঢুকেছিল। সোমবারের মারপিট, যেটা স্কুলের বাইরে হয়েছে, সবটাই রেকর্ড রাখা হচ্ছে।”