
শিলিগুড়ি: কসবা-কাণ্ডের জেরে বিভিন্ন কলেজগুলিতে আরও একবার মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গোটা রাজ্যজুড়েই কলেজগুলি নিজের নিজের মতো করে নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে চিন্তিত। এবার পদক্ষেপ করল শিলিগুড়ি কলেজ। এর আগেও নিরাপত্তা নিয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছিল এই কলেজ। ইতিমধ্যেই সেখানে ১৬টি সিসিক্যামেরা আছে, তবে এবার নতুন করে আরও ৬৪টি ক্যামেরায় মুড়বে গোটা কলেজ।
কলেজ অধ্যক্ষের দাবি, ছাত্রছাত্রীদের নির্দিষ্ট ড্রেসকোড চালু হয়েছিল ২০১৮ সালে। এর জেরে দুর থেকেই দেখে বলা সম্ভব কারা কলেজে ঘুরছেন। রয়েছে আইকার্ড। এর পাশাপাশি কলেজের দুটি গেটে প্রাক্তন দুই সেনাকর্মীকে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। শিলিগুড়ি কলেজের অধ্যক্ষ অমল রায় বলেন, “প্রথমত বলি আমাদের ড্রেস কোড আছে তো, তাই বহিরাগতর দাপাদাপি নেই। আমাদের পড়ুয়ারা নিজস্ব ড্রেস পরে ঢোকে। প্রাক্তন পড়ুয়ারা এলে অন্য পোশাকে আসেন। ফলে আমরা সবটা জানতে পারি। আর এক্স আর্মিরাই আমাদের নিরাপত্তারক্ষী। তাঁরাই পুরো বিষয়টি দেখে নেন।”
কলেজ পরিচালন সমিতির সদস্য অধ্যাপক অমল রায় বলেন, “আমরা বহিরাগত নিয়ে আতঙ্কে আছি। কিন্তু আমাদের সুবিধা হল নির্দিষ্ট ড্রেসকোড চালু থাকায় দূর থেকেই আমরা দেখে বলতে পারি কলেজ চত্বরে কারা ঘুরছে। নিরাপত্তারক্ষীদের ওয়াকিটকি দেওয়ার প্রস্তাব নিয়েছি। গেটে রেজিস্ট্রার খাতা আছে। সিসিটিভি আছে।”
কলেজের গেটে মোতায়েন নিরাপত্তারক্ষী জানান, “নির্দিষ্ট ড্রেস ও আইকার্ড দেখেই সকলকে ভিতরে ঢুকতেদি। বাইরের কেউ এলে অনুমতি নিয়ে এবং গাড়ির নম্বর নথিভুক্ত করিয়ে তারপরই কলেজে প্রবেশের অনুমতি মেলে।”