Suvendu Adhikari: ‘যিনি ২৫০-৩০০ গাড়ি নিয়ে বের হন, যাঁর জোড়া কপ্টার রয়েছে, তাঁর মুখে এ কথা মানায় না’, বিজেপি কনভয় প্রসঙ্গে মমতার মন্তব্যে পাল্টা শুভেন্দু

Suvendu Adhikari On Mamata Banerjee: "৮ জন বিধায়ক, ৩ জন সাংসদ  ছিলেন, পাঁচ খানা গাড়ি ছিল, আর ১২টা মিডিয়ার গাড়ি ছিল।" এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে তিনি বলেন, "কে বলছেন! যাঁর জন্য চার ঘণ্টা রাস্তা বন্ধ থাকে, দড়ি ঘেরা থাকে, আর যিনি ২৫০-৩০০ গাড়ি নিয়ে বের হন। যাঁর জোড়া হেলিকপ্টার রয়েছে, জোড়া চাটার্ড ফ্লাইট রয়েছে, তারপরও যখন রাস্তায় বের হন, রাস্তা বন্ধ করে দেন। তাঁর মুখ থেকে এসব কথা মানায় না।"

Suvendu Adhikari: যিনি ২৫০-৩০০ গাড়ি নিয়ে বের হন, যাঁর জোড়া কপ্টার রয়েছে, তাঁর মুখে এ কথা মানায় না, বিজেপি কনভয় প্রসঙ্গে মমতার মন্তব্যে পাল্টা শুভেন্দু
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা শুভেন্দু অধিকারীরImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 07, 2025 | 6:36 PM

শিলিগুড়ি: নাগরাকাটায় বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে চোখের নীচে হাড় ভেঙে খগেন মুর্মু। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরাও। এই হামলার নেপথ্যে জনরোষের তত্ত্ব খাড়া করতে মরিয়া তৃণমূল। অন্যদিকে, এটাতে শাসকদলের মদত, প্রশাসনিক ব্যর্থতাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। সঙ্গে এটাও  দাবি করেছেন, ওই দুর্গত এলাকায় ৩০-৪০টা কনভয় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আর তাতেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এবার এই নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর মুখ খুললেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী

মঙ্গলবার খগেন মুর্মুকে দেখতে হাসপাতালে যান শুভেন্দু। বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তখনই মমতার এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া জানতে প্রশ্ন করা হয় শুভেন্দুকে। তিনি বলেন. “৮ জন বিধায়ক, ৩ জন সাংসদ  ছিলেন, পাঁচ খানা গাড়ি ছিল, আর ১২টা মিডিয়ার গাড়ি ছিল।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে তিনি বলেন, “কে বলছেন! যাঁর জন্য চার ঘণ্টা রাস্তা বন্ধ থাকে, দড়ি ঘেরা থাকে, আর যিনি ২৫০-৩০০ গাড়ি নিয়ে বের হন। যাঁর জোড়া হেলিকপ্টার রয়েছে, জোড়া চাটার্ড ফ্লাইট রয়েছে, তারপরও যখন রাস্তায় বের হন, রাস্তা বন্ধ করে দেন। তাঁর মুখ থেকে এসব কথা মানায় না।”

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুধিয়ায় দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী। তারপর খগেন মুর্মুকে দেখতে হাসপাতালে যান। এরপর সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানেই এই হামলা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভিআইপির নাম করে ৩০টা গাড়ি ৪০ টা গাড়ি নিয়ে ঢুকছে।”

দুর্গত এলাকায় তিনি এখন কেবল তিনটে গাড়ি নিয়েই যাচ্ছেন বলে এই কথা পৃষ্ঠেই বলেন। তাঁর কথায়, “আমি তিনটে গাড়ি নিয়ে যাই। একটা সামনে থাকে, একটা মাঝে আর একটা পিছনে। একে রাস্তা খারাপ। তারপর যদি ৪০ টা গাড়ি নিয়ে ঢুকি তাহলে কি পাহাড়ে প্রেশার পড়ে না? আমি তাই স্ট্রিকলি বলেছি, আমাদের কেউ গেলে ৩টের বেশি গাড়ি নিয়ে যাবে না।”

প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরে দুর্যোগকবলিত নাগরাকাটায় একাধিক এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু এবং শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। বামনডাঙায় ঢোকার আগে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। অতর্কিতে তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে লাঠি, জুতো নিয়ে চড়াও হন অনেকে। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ নদীর ধার থেকে পাথর তুলে ছুড়তে থাকেন। গাড়ি থেকে নেমে বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন সাংসদ। তখনই অতর্কিতে ছোড়া ইট এসে তাঁর চোখের নীচে লাগে। বিজেপি সাংসদের ওপর হামলা, তাতে ২৪ ঘণ্টা পরও ‘শূন্য’ গ্রেফতারি, তাতে কথায় কথায় তড়তড়িয়ে বাড়ছে বিতর্কের পারদ!