শিলিগুড়ি: বাড়ির মত ছিল না, তাই মন্দিরে গিয়েই বিয়ে করেছিলেন সঞ্জয় সিং নামের এক ব্যক্তি। তারপর প্রায় আড়াই মাস কেটে গিয়েছে। অথচ ঘরে তোলা হচ্ছে না স্ত্রীকে। এই দাবি নিয়ে ধরনায় বসেন স্ত্রী। তবে সেখানেই শেষ নয়। অবরোধ পর্যন্ত করা হল রাস্তায়, ভাঙচুর চলল পুলিশের গাড়িতে।
অভিযোগ, সঞ্জয় সিংহের এই বিয়েতে অমত থাকায় গৃহবধূকে ঘরে তোলা হয়নি। তাই আর উপায় না দেখে শ্বশুরবাড়ি সামনে ধরনায় বসে যান ওই মহিলা। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সলকাভিটা গ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলাকে সমর্থন জানাচ্ছেন গ্রামের একাধিক মহিলা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই গ্রামের বেশ কয়েকজন মহিলা ধরনারত বধূর সঙ্গে যোগ দেন। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে গৃহবধূকে ঘরে ঢোকানো হোক।
এই ধরনাকে কেন্দ্র করে ঘটনাস্থলে উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আসরে নামতে হয় পুলিশকে। উত্তেজিত মহিলারা বিএসএফ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় মাটিগাড়া চট হাট রাজ্য সড়ক অবরোধ করে। পুলিশ অবরোধ তোলার চেষ্টা করলে পুলিশভ্যানে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ রীতিমতো লাঠি তুলে তাড়া করলে অবরোধ উঠে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ওই গৃহবধূ সহ ১২ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এদিকে, ওই ধরনারত মহিলাকে শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে দিতে যান বিক্ষোভকারী মহিলারা। তাঁর স্বামী জ্যোতির্ময় সিংহের বাবা সঞ্জয় সিংহের অভিযোগ, বাড়িতে ঢোকানোর নাম করে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে। সলকা ভিটার বেশ কয়েকজন বাসিন্দার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি।