Siliguri: নদীর ধারে স্ত্রীর গলাকাটা দেহ, গাছে ঝুলছে স্বামী! সাতসকালে ভয়ঙ্কর কাণ্ড শিলিগুড়িতে
Tension in Siliguri: খবর পেতেই দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। পুরোদমে শুরু হয়েছে তদন্ত। কথা বলা হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে। দম্পতির দেহ উদ্ধার করে ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে আসিঘড় আউটপোস্টের পুলিশ।

শিলিগুড়ি: জোড়া মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে সাতসকালেই ব্য়াপক চাঞ্চল্য শিলিগুড়িতে। ভক্তিনগর থানার আশিঘর আউট পোস্ট এলাকার থারোঘাটিতে উদ্ধার হল স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ। নদীর ধার থেকে গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে অনিমা মণ্ডলের (৪০) দেহ। জঙ্গল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে তাঁর ৫০ বছরের স্বামী তপন মণ্ডলের দেহ। খবর চাউর হতেই সকালে শোরগোল পড়ে যায় প্রতিবেশীদের মধ্যে। কী কারণ এমন কাণ্ড তা কেউই বুঝে উঠতে পারছেন না। খুন নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে চাপানউতোর।
খবর পেতেই দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। পুরোদমে শুরু হয়েছে তদন্ত। কথা বলা হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে। দম্পতির দেহ উদ্ধার করে ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে আসিঘড় আউটপোস্টের পুলিশ। এদিনই হবে ময়নাতদন্ত। রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর আসল কারণ সম্পর্কে ধোঁয়াশা অনেকটাই কাটবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
পরিবারের সদস্যরা যদিও বলছেন বাড়িতে কোনও সমস্যাই ছিল না। কারও সঙ্গে কোনও ঝগড়া-বিবাদ কিছুই হয়নি। তাই হঠাৎ কেন এই কাণ্ড তা নিয়ে দিশাহীন তাঁরাও। অনিমা-তপনের ছেলে বলছেন, “সন্ধ্যার দিকে আমাকে আমার বউ ফোন করে। তখনই বলে মা এখনও বাড়ি ফেরেনি। বাবা মাকে আনতে গিয়েছে। তারপর সাতটার দিকে ফোন করে বলে কেউ ফেরেনি। রাত বাড়তে থাকায় লাগাতার ফোন করি। কেউ ফোন ধরেনি। আশপাশে খোঁজাখুঁজি করি। কোথাও পাইনি। চিন্তায় চিন্তায় রাতে তো ঘুম হয়নি। ভোর হতেই আবার খোঁজ শুরু করে দিই। তারপরই তো দেখি এই কাণ্ড।”
