
শিলিগুড়ি: আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির মতো একাধিক জায়গা থেকে সম্প্রতি নারী পাচারের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু জানেন কীভাবে সাধারণ ঘরের মেয়েদের তুলে নিয়ে গিয়ে পাচারের চেষ্টা করা হত? পাচারকারীদের ছক জানলে চমকে যাবেন। সূত্রের খবর, সন্দেহ এড়াতে সাধারণ যাত্রীর বেশেই মেয়েদের পাচারের চেষ্টা করেছিল অভিযুক্তরা? আগেভাগেই অগ্রিম বাসের টিকিট কেটেছিল পাচারকারীরা।
বুধবার নারী পাচার বিরোধী দিবসে পাচার রুখতে তথ্য আদানপ্রদানে জোর এসএসবির। বিচারপ্রক্রিয়ায় দেরী ও মামলা চলাকালে পুলিশের ভূমিকায় হতাশ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিও।
উত্তরবঙ্গ থেকে মেয়ে পাচারের দুটি মামলাতেই তদন্ত এগোচ্ছে রেলপুলিশ ও প্রধান নগর থানা। ৫৪ জনকে উদ্ধারের পর ফের ৩৪ জনকে উদ্ধারের ঘটনায় যে বাস ব্যবহার করা হয়েছিল সেই সংস্থার দাবি, সাধারণ যাত্রী হিসেবেই অগ্রিম টিকিট কেটে বাসে উঠেছিল তারা। বাসস্ট্যান্ডে এরপর পুলিশ এসে তাদের আটক করে। চালক থেকে খালাসি কেউ তার আগে কিচ্ছুটি বোঝেননি। এদিকে শুধু উত্তরবঙ্গই নেয়, নেপাল থেকেও প্রচুর সংখ্যায় মেয়েদের পাচার করা হচ্ছে বলে জানালেন এসএসবি আইজি বন্দন সাক্সেনা।
আজ শিলিগুড়িতে তিনি বলেন, “বহু দিন ধরেই এই পাচার চলছে। পাচারকারীদের রুখতে নেপাল সীমান্তে বাহিনী সতর্ক রয়েছে। নেপাল থেকে সীমান্ত পেরিয়ে এপারে আসা মেয়েদের জিজ্ঞাসাবাদের পরই ছাড়া হয় সীমান্ত থেকে।”
অন্যদিকে এক সবেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্তারা বলেন, “দু’টি ঘটনায় সাফল্য এসেছে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের তথ্য আদানপ্রদানে জোর দেওয়ায়। তা আরও বাড়ানো হচ্ছে। তবে বিচার প্রক্রিয়ায় পুলিশের ঢিলেমি এবং বিচারে দীর্ঘসময় সমস্যা বাড়াচ্ছে। আমরা চাইছি পুলিশ ও বিচার বিভাগ আরও দ্রুততার সাথে প্রক্রিয়াগুলি করুন। মামলা চলাকালীন তদন্তকারী অফিসারেরা সঠিক ধারায় মামলা দিন। আদালত দ্রুত বিচার শেষ করুক।”