শুভেন্দু-মুকুলের জন্য হার, নিজের কর্মীদের জন্য খারাপ ভাবমূর্তি – প্রচারে সাফাই কৃষ্ণেন্দুর
মঙ্গলবার সকালে, প্রচারে নেমে, কৃষেন্দু জানান, মন্ত্রী হওয়ার পরে তাঁর কাছে অনেক মানুষ আসতে চাইতেন। কিন্তু, তাঁর কর্মীরাই সাধারণ মানুষকে আসতে দিতেন না।
মালদা: নির্বাচনের দিনক্ষণ যত এগোচ্ছে, ততই জোরালো হচ্ছে প্রচার। মঙ্গলবার সকালে, বাংলার প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষেন্দু নারায়ণ চৌধুরী (Krishnendu Narayan Choudhury) ইংরেজবাজারে প্রচারে নেমেই জানালেন তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। তাঁর কর্মীদের আচার-আচরণ হাবভাবের জন্য তিনি ক্ষমা চাইছেন। এমনকি, ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি তাঁর কর্মীদের রুষ্ট আচরণকেই দায়ী করলেন।
মঙ্গলবার সকালে, প্রচারে নেমে, কৃষেন্দু জানান, মন্ত্রী হওয়ার পরে তাঁর কাছে অনেক মানুষ আসতে চাইতেন। কিন্তু, তাঁর কর্মীরাই সাধারণ মানুষকে আসতে দিতেন না। এমনকি, কৃষেন্দু বাবু অফিসে থাকা সত্বেও তিনি নেই এমনটা শুনেই ফিরে যেতে হয়েছে অনেককে। তাঁর কর্মীদের এই রূঢ় আচরণের জন্য তিনি অনুতপ্ত।
এদিন, প্রচারে নেমে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানবিদ্যা মন্ত্রী বলেন, ‘আমার কর্মীরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে যা যা করেছে তা অন্যায়। মাটির কাছে না এলে মানুষের সমস্যা বোঝা যায় না। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, তা নিয়ে সচেতন আমি। অফিসে এখন সিসি ক্যামেরা (CCTV) লাগিয়েছি। আমার সঙ্গে কে দেখা করতে এসেছে, কেন এসেছে সবটা আমি নিজে দেখাশোনা করি। মানুষের জন্য কাজ করা ছাড়া আমার আর কোনও উদ্দেশ্য নেই।’
মঙ্গলবার প্রচারে নেমে কৃষেন্দু আরও বলেন, ‘২০১৬-তে আমার পরাজয়ের পেছনে ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ম্যানেজমেন্ট টিম। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং মুকুল রায় (Mukul Roy) আমার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেনি। সমন্বয় সাধন করেনি। কীভাবে প্রচার করতে হবে, কী করতে হবে বলেনি। মানুষের মধ্যে আস্থাটাই তৈরি হয়নি। তবে সেই টিম এখন দলবদলু। আর আমার যে কর্মীরা সাধারণের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করেছিলেন, তাঁরাও বহিষ্কৃত। এ বারে জয় নিশ্চিত।’
যদিও, কৃষেন্দুর ‘বিনম্র সমপর্ণ’-কে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির (BJP)। বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, কৃষেন্দু নারায়ণ ও তাঁর দলের কর্মীদের অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার সাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। তিনি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁর কি এখন এত দুর্দশা যে এইভাবে রাস্তায় নেমে নিজের প্রচার করতে হচ্ছে? নামটাই কি কাফি নয়? পদ্ম শিবিরের এই সমস্ত প্রশ্ন নিয়ে যদিও ভাবতে নারাজ কৃষেন্দু। আত্মপ্রত্যয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী এদিন বলেন, ‘মালদার মানুষ বুঝতে পেরেছে দিদি ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। আর দিদিকে জেতাতে হলে মালদায় কৃষেন্দুকেই কাণ্ডারী হতে হবে।’
আরও পড়ুন: পাঠক বলছি: মদন মিত্রকে কেউ সে দিন বহিরাগত বলেননি…