Birbhum: হাটেই ভাঙল হাঁড়ি! ভরা বাজারে পরপর দোকানদারদের চলল কান ধরে ওঠবস, শাস্তি দিলেন খোদ…
Birbhum: আর সাধারণের এই এড়িয়ে যাওয়া মানসিকতারই সুযোগ নিয়ে থাকেন একাংশের অসাধু ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবারও ঠিক এমনটাই ঘটল। হাটে হাঁড়ি ভাঙল অসাধু ব্যবসায়ীদের।

বীরভূম: সর্বক্ষণ ছুটে চলা জীবনের দরুন এখন কতই বা মানুষের হাতে সময় থাকে রেঁধে খাওয়ার? যুগের চাহিদায় বেশির ভাগ কর্মরত মানুষকেই নির্ভর করতে হয় দোকানে তৈরি খাবারের উপর। নিত্যদিনই সকালের চা-টা থেকে রাতের রুটি-তরকারি অনেকেই খেয়ে থাকেন বাইরেই। কিন্তু এই বাইরে খাওয়ার জেরে কতটাই বা নজর দেওয়া হয় খাবারের গুণমানের উপর? খেতে ভাল হলেই কেউ কি আর দেখেন আদৌ সেটা স্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি কি না?
আর সাধারণের এই এড়িয়ে যাওয়া মানসিকতারই সুযোগ নিয়ে থাকেন একাংশের অসাধু ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবারও ঠিক এমনটাই ঘটল। হাটে হাঁড়ি ভাঙল অসাধু ব্যবসায়ীদের। ঠকিয়ে অস্বাস্থ্যকর জিনিস দিয়ে খাবার তৈরির ফল ভুগল তারা। একজনকে তো আবার ভরা বাজারেই করতে হল ওঠবস।
ঘটনা বীরভূমের আহমদপুরের। সেখানে সাত সকালে অভিযানে বেরিয়ে ছিল খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। আর তাতেই ধরা পড়ল একের পর এক গাফিলতি। কারওর দোকানে মিলল বাসি খাবার, কারওর আবার পচা। কেউ কেউ তো খাবারে ইন্ড্রাস্টিয়াল রঙের ব্যবহার করছেন।
এদিন বেশ কয়েকটি মিষ্টির দোকান ও বিরিয়ানির দোকানে হানা দেয় খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। সেখানেই কয়েকটি বিরিয়ানির দোকানে বাসি মাংসের হদিশ পান আধিকারিকরা। মিষ্টির দোকানে মেলে বাসি জিলিপি, সিঙারা ও পচা মিষ্টিও। শাস্তি হিসাবে বেশ কয়েকজন দোকানদারকে ভরা বাজারেই কান ধরে ওঠবস করান তারা। পাশাপাশি, যাদের লাইসেন্স নেই, তাদের সময়সীমা বেঁধে লাইসেন্স তৈরির নির্দেশ দেন খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা।





