VIDEO: ‘কোথায় যাচ্ছেন? পারমিশন নিয়ে ঢুকতে হবে’, আবাসে নাম থাকা নেতাদের বাড়ি পৌঁছতেই ধুন্ধুমার তারকেশ্বরে

Awas Yojana: শুধু আত্মীয় নয়, পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও প্রধান ও উপ প্রধান ঘনিষ্ঠ মোট ১৯ জন তৃণমূল নেতা-নেত্রীর নাম আবাসের তালিকায় দেখে তাজ্জব 'আবাস' প্রাপকরা। তারকেশ্বরের নাইটা মাল পাহাড় পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামের মানুষ।

VIDEO: 'কোথায় যাচ্ছেন? পারমিশন নিয়ে ঢুকতে হবে', আবাসে নাম থাকা নেতাদের বাড়ি পৌঁছতেই ধুন্ধুমার তারকেশ্বরে
আবাস যোজনায় নাম উপ প্রধানের বাবাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Dec 04, 2024 | 8:53 PM

সনৎ দে ও শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তীর রিপোর্ট

কোথাও আবাস যোজনায় পাওয়া বাড়িতে তৈরি হয়েছে হোম-স্টে। কোথাও প্রাপকের ঝাঁ চকচকে ঘর দেখে চমকে যাওয়ার জোগাড়। এবার  আর তারকেশ্বরে প্রধান, উপ প্রধানের কেরামতি দেখে তাজ্জব সাধারণ মানুষ। নিজের পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী ও ভাসুরের নাম আবাসের তালিকায়! এখানেই শেষ নয়, ওই গ্রামেরই উপ প্রধানের বাবা ও দুই ভাইয়ের নামও রয়েছে আবাসের তালিকায়। আর সেই উপ প্রধানের বাড়ি দেখলে চোখ কপালে উঠবে। পেল্লায় দরজা পেরিয়ে ঢুকতে হয় সেই অট্টালিকায়। সেখানেই পৌঁছে গিয়েছিল TV9 বাংলা।

শুধু আত্মীয় নয়, পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও প্রধান ও উপ প্রধান ঘনিষ্ঠ মোট ১৯ জন তৃণমূল নেতা-নেত্রীর নাম আবাসের তালিকায় দেখে তাজ্জব ‘আবাস’ প্রাপকরা। তারকেশ্বরের নাইটা মাল পাহাড় পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামের মানুষ।

নাইটা মাল পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মামনি মাঝির স্বামী জয়ন্ত মাঝি এবং প্রধানের স্বামীর দাদা অর্থাৎ ভাসুর রবীন মাঝি নাম উঠেছে আবাসের তালিকায়। TV9 বাংলার প্রতিনিধি সেখানে পৌঁছে দেখলেন, এই রবীন মাঝি দিব্যি বসবাস করছেন পাকাবাড়িতে। জিজ্ঞেস করায় তিনি বলেই ফেললেন, ওই পাকা বাড়ি নয়, তার সামনে থাকা কুঁড়েঘর দেখিয়ে আবাস যোজনার সুবিধা পেয়েছেন। তাহলে মামনি কোথায় থাকেন? রবীন ও তাঁর স্ত্রীর বক্তব্য, মামনি তাঁদের বাড়িতে আশ্রিতা। আবার পাড়া-প্রতিবেশী এসে বলছে, ওটাই নাকি মামনি মাঝির বাড়ি।

এবার আসা যাক উপপ্রধান শেখ মণিরুল ইসলামের কথায়। গ্রামের মাঠ পেরিয়ে তাঁর বাড়ির দিকে যেতে গেলে আটকে দেন দুই যুবক। সাংবাদিককে প্রশ্ন করেন, কার পারমিশন নিয়ে এসেছেন? আগে বলুন কী ব্যাপার, তারপর বাড়ির ছবি তুলবেন। মণিরুলের বড়সড় বাড়ি রয়েছে, রয়েছে পেল্লায় দরজা। অথচ আবাস যোজনার তালিকায় নাম রয়েছেন তাঁর বাবা শেখ আবুল কাসেম, ভাই শেখ আবু সিদ্দিক ও দাদা শেখ রুবিয়েলের। যা দেখে চক্ষুচড়ক গাছ এলাকারই তৃণমূল নেতাদের। মণিরুলের বাবা বলছেন, ওটা তাঁরই বাড়ি। আবার উপ প্রধান ঘনিষ্ঠ লোকজন বলছেন, বাবা মণিরুলকে বাড়িটি লিখে দিয়েছেন। এখানেই কোন বাড়ির মালিক কে, বোঝাই দায়।

এই পঞ্চায়েতের আবাস প্রাপকদের তালিকা সামনে আসতেই সরব হয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা গণেশ চক্রবর্তী বলেন, তৃণমূল দলটা দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে। আবাস যোজনা পাইয়ে দেওয়ার নামে যেমন টাকা তুলেছে তৃণমূল, আবার সার্ভে করার সময়ও টাকা তুলেছে বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত প্রধান মামনি মাঝির কাছে এসবের কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তিনি নাকি এসবের কিছুই জানেন না!

তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায় জানান, তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা যদি প্রকৃত বাড়ি পাওয়ার উপযোগী হয় অবশ্যই তারা বাড়ি পাবে। পুরো বিষয়টি দলের উচ্চ নেতৃত্ব এবং মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আনা হবে বলে জানান বিধায়ক।