AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Hooghly: ফের বিতর্কে বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ, পঞ্চায়েত সমিতির ভেতরেই দলের নেতাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ

BJP MLA allegedly beats Panchayat samiti member: হাসপাতালের বেডে শুয়ে রবীন প্যাটেল অভিযোগ করেন, "দলের মণ্ডল সভাপতির নামে একটি ফেরিঘাট নিয়ে নিজে চালান বিধায়ক। এদিন পঞ্চায়েত সমিতির অর্থ কমিটির মিটিং চলাকালীন ফেরিঘাটের টাকা নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলি। উনি মাত্র ১ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। সাড়ে ২০ লক্ষ টাকা দেননি। তা নিয়ে বলতেই আমাকে বেধড়ক মারধর করেন। মুখে ঘুষির পর ঘুষি মারেন।" 

Hooghly: ফের বিতর্কে বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ, পঞ্চায়েত সমিতির ভেতরেই দলের নেতাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ
মারধরে আহত বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রবীন প্যাটেলImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 15, 2025 | 5:49 PM
Share

খানাকুল: ফের বিতর্কে খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। এবার বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির অফিসেই শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম হয়েছেন খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ রবীন প্যাটেল। তাঁর অভিযোগ, বিধায়ক তাঁকে এলোপাথাড়ি ঘুষি মারেন। যদিও দলের নেতার সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খানাকুলের বিধায়ক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। 

কিছুদিন আগেই খানাকুলে বিডিও-র চেম্বারে ঢুকে আঙুল তুলে চিৎকার করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সুশান্ত ঘোষ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে ঢুকে দলেরই নেতাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। সোমবার খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে ফেরিঘাটের টাকা আদায় নিয়ে তর্কাতর্কি বাধে। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন বিজেপি পরিচালিত খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষের উপর চড়াও হন সুশান্ত ঘোষ। শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ রবীন প্যাটেলকে বিধায়ক চড়, ঘুষি মারেন বলে অভিযোগ। আহত অবস্থায় রবীন প্যাটেলকে উদ্ধার করে প্রথমে খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালের বেডে শুয়ে রবীন প্যাটেল অভিযোগ করেন, “দলের মণ্ডল সভাপতির নামে একটি ফেরিঘাট নিয়ে নিজে চালান বিধায়ক। এদিন পঞ্চায়েত সমিতির অর্থ কমিটির মিটিং চলাকালীন ফেরিঘাটের টাকা নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলি। উনি মাত্র ১ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। সাড়ে ২০ লক্ষ টাকা দেননি। তা নিয়ে বলতেই আমাকে বেধড়ক মারধর করেন। মুখে ঘুষির পর ঘুষি মারেন।”

দলের নেতাকে মারধরের অভিযোগ ঘিরে অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা বিজেপি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে বলে এড়িয়ে যান বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুশান্ত বেরা। বলেন, “আমি ঘটনাটি শুনেছি। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওখানে কী হয়েছে, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র জানি না। আমি খোঁজ নিচ্ছি। তার আগে কিছু বলতে পারব না।”

Khanakul Bjp Mla

খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ

তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খানাকুলের বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষের আহত হওয়া নিয়ে যুক্তিও দিলেন। খানাকুলের বিধায়ক বলেন, “এসব মিথ্যা কথা। আজকে অর্থ কমিটির বৈঠক ছিল। উনি পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও মহিলা সদস্যদের সঙ্গে উত্তেজিতভাবে কথা বলছিলেন। মহিলারা তাঁকে থামানোর চেষ্টা করছিলেন। উনি দাঁড়িয়ে চিৎকার করছিলেন। পা পিছলে পড়ে যান। তাঁর সুস্থতা কামনা করি।” দলের গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে তাঁর বক্তব্য, “আমাদের দলের মধ্যে এরকম কিছু হয়নি।”

ঘটনাটি নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক স্বপন নন্দী বলেন, “টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে বিজেপি নিজেরাই মারপিট করছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চাপা রাখার চেষ্টা করেছিল। সেটা সামনে এসেছে। ফেরিঘাট নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিশাল মারপিট হয়েছে। বিজেপি যে কী জিনিস, খানাকুলের মানুষ এবার বুঝতে পারছেন।”