চণ্ডীতলা: পেট্রোল পাম্পের সামনে গুলিবিদ্ধ পুলিশ অফিসার। তাঁর বাঁ হাতে গুলি লেগেছে বলে খবর। এই ঘটনায় আটক হয়েছিলেন এক আহত পুলিশ অফিসারের সঙ্গে থাকা এক মহিলা। প্রথম থেকেই প্রশ্ন উঠছিল কীভাবে গুলিবিদ্ধ হলেন ওই অফিসার। সময় যত গড়িয়েছে প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক তথ্য। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বান্ধবীর সঙ্গে বচসার জেরেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন চণ্ডীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি। ওই মহিলা আসলে এই পুলিশ আধিকারিকের বান্ধবী বলেই জানা যাচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ভারপ্রাপ্ত ওসি জয়ন্ত পালের বান্ধবীর নাম ইতি দাম। ডাক নাম টিনা। তিনি হাওড়ার সাঁকরাইলের বাসিন্দা। তিনি হাওড়ারই একটি পানশালার কর্মী। বেশ কয়েক মাস ধরেই চণ্ডীতলার ভারপ্রাপ্ত ওসির সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে খবর। এরপর গত বুধবার বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে কেনাকাটা করতে যান ওসি। জানা যাচ্ছে, প্রায় ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকার কেনাকাটি করেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, এরপর সেই নিয়েই জয়ন্তর সঙ্গে টিনার বচসা বাধে। তারপর তা পৌঁছয় হাতাহাতিতে। আর তারপরই গুলি চলে বলে জানা যাচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী, নিজের থানা এলাকার বাইরে বেরতে হলে নিয়ম অনুযায়ী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। তবে জয়ন্তবাবু তা করেননি বলেই জানা গিয়েছে। ফলত, বেআইনিভাবে নিজের থানা এলাকার বাইরে গিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, সরকারি গাড়ির পরিবর্তে অন্য একটি বেসরকারি গাড়িতে পুলিশ স্টিকার লাগিয়ে এসেছিলেন হাওড়ায়। আরও একটি বিষয় সামনে আসছে। সূত্রের খবর, জয়ন্তবাবু ওই এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি মাঝে মধ্যেই সেখানে আসতেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার রাত্রি এগারোটা নাগাদ হাওড়া ঘোষপাড়া পেট্রলপাম্পের সামনে তাঁর গুলিবিদ্ধ হন জয়ন্ত পাল।গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন ব্যাঁটরা ও শিবপুর থানার পুলিশ। তাঁরাই তদন্ত শুরু করেছে।