প্রকাশ্যে স্ত্রী-র বুক চিরল স্বামী! ক্লাইম্যাক্স তখনও বাকি, বন্ধ ঘরের দৃশ্যে হতভম্ব পড়শিরা
হোলির দিন মর্মান্তিক ঘটনা হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়ার চকবাজার এলাকায়।
হুগলি: পেশায় প্যাথোলজিস্ট। পাড়ারই একটি বাড়িতে রক্ত কালেকশন করতে এসেছিলেন। সেই বাড়ি থেকে বেরনোর সময়ই অতর্কিতে পিছন থেকে হামলা। একটা ক্ষুর আর একটা ব্লেড- ‘অস্ত্র’ বলতে এটুকুই! গালে, গলায়, শরীরের বাঁ দিকে বেপরোয়া চলছিল আক্রমণ। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যাওয়ার আগে পিছন ফিরে মুখটা দেখেছিলেন। স্বামীকে দেখে সত্যিই বিস্মিত হয়ে পড়েছিলেন স্ত্রী। পড়শিরা ততক্ষণে হাজির। রক্তাক্ত স্ত্রীকে উদ্ধার করে যখন হাসপাতালে ভর্তি করতে ব্যস্ত পড়শিরা, ততক্ষণে ঘরে ঢুকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যাও করে ফেলেছেন স্বামী। হোলির দিন মর্মান্তিক ঘটনা হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়ার (Chinsurah) চকবাজার এলাকায়।
চকবাজারের শান্তিপল্লি এলাকার বাসিন্দা রিঙ্কু মালিক পেশায় প্যাথোলজিস্ট। স্বামী রাজু ব্যবসা করেন। পাড়ারই এক মহিলার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কারণে বছর দুয়েক ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিল। মেয়েকে নিয়ে বাপেরবা়ড়ি চলে যান রিঙ্কু। সোমবার সকালে স্বামীর বাড়ির পাড়াতে এসেছিলেন রক্ত কালেকশন করতে। তখনই অতর্কিতে তাঁর ওপর হামলা চালায় রাজু।
স্থানীয়রা বলছেন, যখন বাড়ি থেকে রিঙ্কু বেরোচ্ছিলেন, তখন ফাঁকা গলিতে বাইকে এসে রাজু রিঙ্কুর ওপর হামলা চালান। ক্ষুর আর ব্লেড দিয়ে চিরে দেন গাল-গলা-হাত-বুক। রিঙ্কুর আর্তনাদ শুনেই স্থানীয়রা ছুটে আসেন। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যান রিঙ্কু। তাঁকে উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করান স্থানীয়রা। ততক্ষণে রাজু ঘরে ঢুকে গলায় দড়ি দেয়।
যে মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে রাজু ও রিঙ্কুর মধ্যে বচসা ছিল, তাঁর বাড়িতে চড়াও হন স্থানীয়রা। চলেন ভাঙচুর। পরে চুঁচুড়া থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।