সোমবার থেকে মিলবে না জল-নেওয়া হবে ময়লা, কর্মবিরতিতে পুরকর্মীরা
Hooghly: গতকাল অস্থায়ী কর্মীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে গত ২ ডিসেম্বর থেকে পুরসভার সব রকম পরিষেবা থেকে তাঁরা বিরত থাকবেন। এখানেই শেষ নয়, টোটোয় চড়ে মাইকে প্রচার করছেন বিভিন্ন এলাকায়। জানিয়ে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষকে নিজেদের অবস্থার কথা।
চুঁচুড়া: বেশ কয়েক মাস যাবত বেতন না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন হুগলির চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মীরা। যার কারণে প্রায় প্রত্যেক মাসেই পুরসভায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। সম্প্রতি, কর্মবিরতিও পালন করেছিলেন এই সকল কর্মীরা। যার জেরে আলো জ্বলেনি চুঁচুড়া শহরের রাস্তার স্ট্রিট ল্যাম্পে। কিন্তু সুরাহা কিছুই হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এরপর শনিবার পুরসভার মাসিক বোর্ড মিটিংয়ে পুরপ্রধান সহ কাউন্সিলরদের ঘেরাও করে রাখলেন অস্থায়ী কর্মীরা। প্রায় চার ঘণ্টা পর ঘেরাও মুক্ত হন পুরপ্রধান ও কাউন্সিলররা।
গতকাল অস্থায়ী কর্মীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে গত ২ ডিসেম্বর থেকে পুরসভার সব রকম পরিষেবা থেকে তাঁরা বিরত থাকবেন। এখানেই শেষ নয়, টোটোয় চড়ে মাইকে প্রচার করছেন বিভিন্ন এলাকায়। জানিয়ে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষকে নিজেদের অবস্থার কথা। এমনকী পাশে থাকার আর্জিও জানাচ্ছেন তাঁরা। শহরের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার ফেলেও সাধারণ মানুষকে সচেতন করছেন। জানা যাচ্ছে, আগামিকাল থেকে পুর এলাকায় জল, বিদ্যুৎ, জঞ্জাল সাফাই সহ বিভিন্ন দফরের কর্মীরা কাজ করবেন না। যার ফলে সমস্যায় পড়বেন সাধারণ নাগরিক। তাঁদের দাবি তাঁরা পুরসভার ট্যাক্স দিচ্ছেন। তাহলে তাঁরা কেন বিঞ্চিত হবেন পুর পরিষেবা থেকে? শম্পা জানা বলেন, “কাল থেকে যদি জল না পাই, এ তো খুব অসুবিধা। আমরাই বা কোথা থেকে কাজ কর্ম করব। এটাই তো পৌরসভার পৌরপ্রধানকে দেখতে হবে।”
বস্তুত, হুগলি চুঁচুড়া পুরসভায় বিভিন্ন দফতরে প্রায় ২৫০০ অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। এই পুরসভার যা আয় তার থেকে ব্যয় অনেক বেশি। যার ফলে প্রতি মাসে এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে।