Locket Chatterjee: ‘চাকরি বাঁচাতে তো বিবেক বেচতে পারেন না…’, গর্ভবতীদের USG-র নামে কী চলছে, মহিলা চিকিৎসকদের হাতেনাতে ধরলেন লকেট

রবিবার সকালে সেই নথি হাতে নিয়ে  সিঙ্গুর হাসপাতালে যান বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি হাসপাতালে আসা রোগীর আত্মীয়দের  সঙ্গেও কথা বলেন।  এবং আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন যে মেয়াদ উত্তীর্ণ, তা নিয়েও সাধারণ মানুষকে জানান।

Locket Chatterjee: 'চাকরি বাঁচাতে তো বিবেক বেচতে পারেন না...', গর্ভবতীদের USG-র নামে কী চলছে, মহিলা চিকিৎসকদের হাতেনাতে ধরলেন লকেট
হাসপাতালে লকেট চট্টোপাধ্যায় Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 05, 2024 | 3:23 PM

হুগলি: মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিনের। আর সেই মেশিনেই গর্ভবতী মহিলাদের পরীক্ষা। খোদ হাসপাতালে দাঁড়িয়েই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন হুগলির বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। আর তা নিয়েই পড়ে গেল হাসপাতালে ব্যাপক শোরগোল।

রবিবার সকালে আচমকাই সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে পৌঁছন লকেট। হাতে তাঁর এক গাদা কাগজপত্র। হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়েই অভিযোগ করেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন দিয়ে গর্ভবতী মহিলাদের পরীক্ষা করানো হচ্ছে। লকেটের অভিযোগ সাত বছর আগে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে  গিয়েছে আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিনের। আর সেই মেশিনই এখনও ব্যবহার করা হচ্ছে সিঙ্গুর ও হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে।

রবিবার সকালে সেই নথি হাতে নিয়ে  সিঙ্গুর হাসপাতালে যান বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি হাসপাতালে আসা রোগীর আত্মীয়দের  সঙ্গেও কথা বলেন।  এবং আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন যে মেয়াদ উত্তীর্ণ, তা নিয়েও সাধারণ মানুষকে জানান।

কর্তব্যরত চিকিৎসকদেরও নথি দেখিয়ে প্রশ্ন করেন লকেট। এক মহিলা চিকিৎসককে  লকেট বলেন, “আপনারা এতদিন ধরে যেটা করেছেন, যেটা সহ্য করেছেন, সেটা একজন মহিলা হিসাবে করা উচিত হয়নি। চাকরির জন্য আমরা নিজেদের বিবেক বেঁচে দিতে পারি না।” লকেটের প্রশ্নের মুখে পড়ে আমতা আমতা করতে দেখা যায় চিকিৎসককে।  তিনি বলেন, “আমাদের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। ডিসিশন তো জেলা থেকে হয়।” লকেট পাল্টা বলেন, “আপনারা আমাকে কেন জানান নি? হুগলির সাংসদকে জানানোর প্রয়োজন ছিল।”   মেয়াদ উত্তীর্ণ আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন নিয়ে তাঁদের কাছে কোনও তথ্য নেই বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।

জানা গিয়েছে, ২০১৭ সাল থেকে ওই আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিনের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। ২০২২ সালে তা রিন্যুয়ালের জন্য আবেদনপত্র পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তা হয়নি। সেই আবেদনপত্রে CMOHএ-র সইও আছে। কিন্তু কীভাবে তা সম্ভব, তা নিয়েই প্রশ্ন। আরও অভিযোগ, ওই হাসপাতালে টেকনিশিয়ান দিয়ে আলট্রাসনোগ্রাফি করানো হয়। যেখানে PG ডিপ্লোমা চিকিৎসক USG করবেন। লকেটের অভিযোগ,  চিকিৎসা পরিষেবার জন্য সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে।  রোগী ও তাঁর পরিজনদের মধ্যেই আতঙ্ক তৈরি হয়। এক কর্তব্যরত চিকিৎসক অর্পিতা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “প্রেসন্যান্সিতে তো অনেক রকম ক্লিনিক্যাল সায়েন্সে অনেক কিছু বোঝা যায়। আমাদের রিপোর্ট দেখে কোথাও কোনও খটকা লাগত, আমরা বাইরে থেকে আরও একবার USG করিয়ে আনতে বলতাম। আমাদের কাছে কোনও তথ্য ছিল না, এই মেশিন ২০১৭ সালে মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে আমাদের কিছু রিপোর্ট দেখে সমস্যা মনে হচ্ছিল, আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। BMOH CMOH কে জানিয়েওছিলেন।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, একটি সংস্থা সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে এই পরিষেবা দেয়। নিদির্ষ্ট সময় অন্তর তার লাইসেন্স রিনিউ করতে হয়। এক্ষেত্রে সংস্থাটির লাইসেন্স আছে কি না তা খতিয়ে দেখে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে মেশিনের মেয়াদ উত্তীর্ণ বলে কিছু হয় না।