
দীপ্তা দাস ব্যোম ব্যোম তারকব্যোম…. ভোলেবাবা পার কারেগা…। ঘুঙুর-ঘণ্টার মতো আওয়াজগুলো যেন সাঁ সাঁ করে সরে যাচ্ছে একপাশ দিয়ে। একসঙ্গে এত কথা, এত আওয়াজ শোনেনি পুলু। গাড়ির সামনে বসে হাঁ করে দেখে যাচ্ছে সে। নালিকুলে দিদার মামারবাড়ি থেকে বিয়ে বাড়ি কাটিয়ে ফিরছে সে। তখন প্রায় সন্ধ্যে। শনিবার। চন্দননগরে ফেরার পথে তারকেশ্বর রোড ধরতে গাড়ি ডান দিকে মোড় নিতেই দাঁড়িয়ে গেল। সামনে দিয়ে একনাগাড়ে বাঁকে করে জলভর্তি ঘড়া নিয়ে প্রায় দৌড়ে হাঁটছেন জলযাত্রীরা। বেশ বিশাল একটা দল পার হতে বড় রাস্তায় গাড়ি উঠতেই ফের দাঁড়িয়ে গেল। এক বিশাল রথ। কেদারনাথের আস্ত মন্দিরটাই যেন সামনের দিকে ধেয়ে আসছে। ঘণ্টা, কাঁসর নিয়ে সে এক উন্মত্ত দল। ছোট থেকে যুবক, মধ্যবয়স্ক। মাতালের মতো নেচে-কুঁদে ভোলেবাবা পার কারেগা, ব্যোম ভোলে, বাবা তারকনাথ বলে চিত্কার করছে। পিছনে আবার তারস্বরে বাজছে ডিজে। তার বিকট আওয়াজে হৃদপিণ্ডের...