হুগলি: প্রার্থী হতে না পেরে কেউ কেউ দল বদলে ফেলছেন। কেউ আবার টিকিট না পেয়ে চলে যাচ্ছেন অন্তরালে। এবার প্রার্থী হতে না পেরে রেললাইনে শুয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা হল হুগলি জেলায়! সোমবার সকালে ত্রিবেণী এলাকার বিজেপি নেতা নিরুপম মুখার্জি আত্মহত্যা করার জন্য রেল লাইনে শুয়ে পড়েন। যদিও তাঁকে নিরস্ত করে উঠিয়ে নিয়ে যান সমর্থকেরা।
রবিবার বিজেপির তৃতীয় ও চতুর্থ দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছে। সোমবার সেটা পৌঁছে গেল আত্মহত্যার চেষ্টায়। ত্রিবেণী এলাকার বিজেপি নেতা নিরুপম মুখার্জি রেললাইনে গিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি নেতৃত্ব কর্মীদের কথা না শুনে দলবদলু দেবব্রত বিশ্বাসকে সপ্তগ্রাম বিধানসভা থেকে প্রার্থী করতে চাইছেন। যে তৃণমূলে টিকিট না পেয়ে দু’দিন আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, সেই নেতাকে কেন বিজেপি প্রার্থী করতে চাইছে, প্রশ্ন তোলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, রবিবারেও হুগলির সপ্তগ্রাম বিধানসভার প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিজেপি। কিন্তু নিরুপমবাবুর দাবি, ভেতরে ভেতরে দেবব্রত বিশ্বাসকে প্রার্থী করতে পারে বলে জানতে পেরেছেন। তাঁর অভিযোগ, যে দেবব্রত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে চুঁচুড়া মগড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি থাকাকালীন বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে তাঁকেই প্রার্থী করতে চলেছে দল! বিজেপি সূত্রে এমন খবর আসতেই নাকি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বিজেপি মৎস্যজীবী সেলের কনভেনার নিরুপম মুখার্জী। যদিও বিজেপি কর্মীরা তাঁকে বিরত করে। তবে নিরুপম মুখার্জী থামছেন না। তাঁর হুঁশিয়ারি, দেবব্রত বিশ্বাসকে প্রার্থী করলে তিনি জেলা অফিসের সামনে গিয়ে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করবেন।
আরও পড়ুন: ‘আমি বন্ধু হিসাবে উপকারী, শত্রু হলে খুব বিপজ্জনক’, টিকিট না পেয়ে ‘বেসুরো’ জয়
প্রসঙ্গত, রবিবার দেবব্রত বিশ্বাস বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই এলাকায় তার বিরুদ্ধে পোস্টারিং করে বিজেপি কর্মীদের একাংশ। এদিকে নিরুপমবাবুর বিদ্রোহের প্রেক্ষিতে হুগলি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি গৌতম চ্যাটার্জি প্রতিক্রিয়া, “কে কী করছে জানি না। কে টিকিট পাবে কে পাবে না, সেটা দলের সিদ্ধান্ত। এ ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই।”