Santanu Banerjee: ‘মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মেরে গঙ্গায় ফেলে দেবে বলেছিল’, শান্তনুর ‘ত্রাসে’ বলাগড় যেন ‘মির্জাপুর’

Mahadeb Kundu | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Mar 18, 2023 | 5:13 PM

Howrah News: এলাকার লোকজনের অভিযোগ, একেবারে ফিল্মি কায়দায় শান্তনু এলাকার লোকজনকে ধমকে-চমকে রাখতেন।

Follow Us

হুগলি: শনিবার সকাল থেকে বলাগড়ে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের গেস্ট হাউজে হানা দিয়েছে ইডির একটি দল। এদিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা এলাকায় যেতেই একের পর এক অভিযোগে সরব হচ্ছেন এলাকার লোকজন। তাঁদের অভিযোগ, প্রাসাদোপম এই গেস্ট হাউজে প্রায়ই কালো কাচে ঢাকা গাড়ির সারি আসত। দ্বাররক্ষী গেট খুলতেই ঢুকে যেত ভিতরে। ৪-৫ ঘণ্টা পর সারি বেঁধে গাড়ি যখন বেরিয়ে আসত, তখনও কালো কাচ তোলা। এ তো গেল একদিক। এলাকার লোকজনের আরও অভিযোগ, একেবারে ফিল্মি কায়দায় শান্তনু এলাকার লোকজনকে ধমকে-চমকে রাখতেন। গেস্ট হাউজে নাচ-গান, হইহুল্লোড় বাদ যেত না কিছুই। এলাকার লোকজনের কিছু বলার অধিকার ছিল না বলেই দাবি।

এলাকার এক বাসিন্দা যা বললেন তাতে মনে হতে পারে যেন কোনও সিনেমার দৃশ্য। ওই ব্যক্তি বলেন, “যাদের সম্পত্তি থাকত তাদের এই গেস্ট হাউজের ভিতরে ডেকে নিয়ে যেত শান্তনুর সাঙ্গপাঙ্গরা। আমাদের মারাত্মকভাবে হেনস্থা করত। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বসে থাকত। আর ওর লোকজন বন্দুক, পিস্তল মাথায় ঠেকিয়ে অত্যাচার করত। আমাকে বলেছিল মেরে গঙ্গায় ফেলে দেবে।”

এলাকার আরেক বাসিন্দা বলেন, “শান্তনু, কুন্তল সব দুর্নীতির কাণ্ডারী। সামনে নিউ ভারতী সংঘ। দোতলা একটা ক্লাব। সমাজসেবী হিসাবে ওখানে ওনারা যেতেন। তবে ওখানে খুঁজলে অনেক কিছুই পাবেন হয়ত।” শুধু সম্পত্তি লুঠ নয়, ভোট লুঠেরও অভিযোগ তুলছেন এলাকার লোকজন। এক বাসিন্দা বলেন, “এখানে রিগিং যে কীভাবে হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে তো মানুষকে ভোটই দিতে দেয়নি। প্রথমে কিছু লোক ভোট দেয়। এরপর তালা বন্ধ করে ভোট হয়েছে এখানে।”

হুগলি: শনিবার সকাল থেকে বলাগড়ে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের গেস্ট হাউজে হানা দিয়েছে ইডির একটি দল। এদিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা এলাকায় যেতেই একের পর এক অভিযোগে সরব হচ্ছেন এলাকার লোকজন। তাঁদের অভিযোগ, প্রাসাদোপম এই গেস্ট হাউজে প্রায়ই কালো কাচে ঢাকা গাড়ির সারি আসত। দ্বাররক্ষী গেট খুলতেই ঢুকে যেত ভিতরে। ৪-৫ ঘণ্টা পর সারি বেঁধে গাড়ি যখন বেরিয়ে আসত, তখনও কালো কাচ তোলা। এ তো গেল একদিক। এলাকার লোকজনের আরও অভিযোগ, একেবারে ফিল্মি কায়দায় শান্তনু এলাকার লোকজনকে ধমকে-চমকে রাখতেন। গেস্ট হাউজে নাচ-গান, হইহুল্লোড় বাদ যেত না কিছুই। এলাকার লোকজনের কিছু বলার অধিকার ছিল না বলেই দাবি।

এলাকার এক বাসিন্দা যা বললেন তাতে মনে হতে পারে যেন কোনও সিনেমার দৃশ্য। ওই ব্যক্তি বলেন, “যাদের সম্পত্তি থাকত তাদের এই গেস্ট হাউজের ভিতরে ডেকে নিয়ে যেত শান্তনুর সাঙ্গপাঙ্গরা। আমাদের মারাত্মকভাবে হেনস্থা করত। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বসে থাকত। আর ওর লোকজন বন্দুক, পিস্তল মাথায় ঠেকিয়ে অত্যাচার করত। আমাকে বলেছিল মেরে গঙ্গায় ফেলে দেবে।”

এলাকার আরেক বাসিন্দা বলেন, “শান্তনু, কুন্তল সব দুর্নীতির কাণ্ডারী। সামনে নিউ ভারতী সংঘ। দোতলা একটা ক্লাব। সমাজসেবী হিসাবে ওখানে ওনারা যেতেন। তবে ওখানে খুঁজলে অনেক কিছুই পাবেন হয়ত।” শুধু সম্পত্তি লুঠ নয়, ভোট লুঠেরও অভিযোগ তুলছেন এলাকার লোকজন। এক বাসিন্দা বলেন, “এখানে রিগিং যে কীভাবে হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে তো মানুষকে ভোটই দিতে দেয়নি। প্রথমে কিছু লোক ভোট দেয়। এরপর তালা বন্ধ করে ভোট হয়েছে এখানে।”

Next Article